পঞ্চগড়: অব্যাহত পাহাড়ি হিম বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। কনকনে শীতের দাপটে থমকে গেছে সর্বসাধারণের কর্মের চাকা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আর শৈত্যপ্রবাহের দাপটে নাকাল হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার সকল রাস্তাঘাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাহাড়ি হিম বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘনকুয়াশা। এতে করে সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ।
গত কয়েকদিনে জেলার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলেও তা আবারও কমে গেছে। এদিকে সকাল ১০টা বাজলেও সূর্যের দেখা মিলেনি।
করতোয়া নদীর নূরি-পাথর সংগ্রহকারী শ্রমিক ইমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, ঠাণ্ডার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিন্তু এই ঠাণ্ডার মাঝে কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই নদীতে যাচ্ছি পাথর তুলতে।
কথা হয় শ্রমিক হামিদা পারভিনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। কাজ করে দিন চালাই। তবে এই শীতে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় আক্ষেপে তিনি আরো বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমাদের কীসের শীত!, পেটের খিদার কাছে শীত কিছু না।
এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বাংলানিউজকে বলেন, হিমালয়ের কাছে এ জেলা অবস্থিত হওয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে। তবে আজ রোববার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁ জেলার বদলগাছিতে।
পাবনার ঈশ্বরদী এবং রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
এসএএইচ