ঢাকা: বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে দেওয়া স্মারকলিপি নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন শেষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
বাপার পক্ষ থেকে বলা হয়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি বিষয়ে অবহিত করা হলে অফিস থেকে জানানো হয়, ডিজি মহোদয় না থাকায় ওনার অনুমতি ছাড়া তা গ্রহণ করা হবে না।
বাপা নেতৃবৃন্দ অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের কাছে তা হস্তান্তর করতে চাইলে প্রথমে বাপা নেতৃবৃন্দকে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, এক পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক ছাড়া ৩/৪ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর বাপা সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিবেশ অতিরিক্ত মহাপরিচালকের কাছে গেলে মহাপরিচালক ব্যস্ত আছেন, ফোনে কথা বলছেন বলে রুমের গেটে বাপা নেতৃবৃন্দ ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পরে রুমে যাওয়ার পরে একপর্যায়ে বাপা নেতৃবৃন্দ অতিরিক্ত মহাপরিচালকের রোষানলের শিকার হন। নানাভাবে অনাগ্রহ প্রকাশ করার পরে বাপা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে অতিরিক্তি মহাপরিচালক স্মারকলিপিটি শেষ অবধি গ্রহণ করেন।
এর আগে অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের’ দাবিতে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাপার সহ-সভাপতি মহিদুল হক খান, যুগ্ম সম্পাদক যথাক্রমে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, আমিনুর রসুল, হাসান ইউসুফ খান ও হুমায়ুন কবির সুমন, আরডিআরএসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক প্রমুখ।
বায়ু দূষণ রোধে বাপার সুপারিশ:
১. নির্মল বায়ু আইন-২০১৯ দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে।
২. নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণ স্থান ঘেরাও দিয়ে রাখতে হবে ও নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নিতে হবে।
৩. শুষ্ক মৌসুমে সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে দূষিত শহরগুলোতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।
৫. ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৬. যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করতে হবে।
৭. সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, ডেসাসহ অন্যান্য সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
৮. নগরের বিভিন্ন ব্যস্ততম স্থানে তাৎক্ষণিক বায়ুমান প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. পরিবেশ ক্যাডার সার্ভিস এবং পরিবেশ পুলিশ চালু ও পরিবেশ আদালত আরো কার্যকর করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
আরকেআর/এমজেএফ