ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের অভাবে রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ ফাইন্যান্স ডায়লগ’র ‘কান্ট্রিড্রাইভেন ক্লাইমেট হেলথ একশনস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং নিডস’ শীর্ষক সেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য। এই অর্থবছরে, বাংলাদেশ সরকার অভিযোজনের জন্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বার্ষিক প্রয়োজন প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। বাকি অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী সংহতির গুরুত্বারোপ করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারগুলি সবসময় অপূর্ণ থাকছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও খারাপ হতে দিতে পারি না। এজন্য বায়ুতে কার্বন নির্গমন কমাতেই হবে।
তিনি বলেন, অভিযোজনের সীমা রয়েছে। যদি আমরা আমাদের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ না করি, তবে আমরা আরও গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব।
মন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। উত্তরে হিন্দুকুশ হিমালয় এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে, আমরা গলিত হিমবাহ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত মধ্যে চাপে রয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য ছাড়াও পানিসম্পদ, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নারীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ মহিলাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে, যার মধ্যে রয়েছে কিডনির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট এবং উচ্চ রক্তচাপ। জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যসমস্যার সমাধান করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ