ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর গত ০২ জানুয়ারি থেকে ০৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ৭৬২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।
বায়ু ও শব্দ দূষণ, নিষিদ্ধ পলিথিন, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এ অভিযান চালানো হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে অবৈধ ৪৩৪টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে অনেকগুলোর চিমনি ও কাঁচা ইট ভেঙে দেওয়া হয়। ২০৫টি ইটভাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১২৪টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস এবং একটি ভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ছয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে সাতটি ট্রাকে করে সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের দায়ে ছয়টি মামলায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়। শান্তিনগর ও শরীয়তপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের দায়ে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান হয়। একটি মামলায় এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ২২ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার পুরানা পল্টনে নির্মাণসামগ্রী দ্বারা বায়ু দূষণের দায়ে একটি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়। ধানমন্ডিতে শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাঁচটি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
এদিন বরগুনা, নোয়াখালী, মানিকগঞ্জ, রংপুর ও লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান হয়। এ অভিযানে ১৪টি মামলায় ৪৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ১০টি ইটভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট ভেঙে ফেলা হয়। একটি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে ৩৬৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান হয়। এতে ৬৮২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে ৫৫ লাখ ৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দ করা হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন। ১২টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ সংরক্ষণে কঠোর অবস্থান অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯,২০২৫
জিসিজি/এসআরএস