বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, যার প্রভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়, যা সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের খেপুপাড়া ও সাগরদ্বীপের মাঝ দিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করবে। এতে আগামী দুই দিন অতিভারী বৃষ্টি হবে। ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কর্মজীবী মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। পথচারীদের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে বিভিন্ন দোকানের ছাউনি বা ভবনের আশেপাশে। রিকশাচালকরাও অনেকে জবুথবু হয়ে সড়কের ধারে বসে আছেন। বৃষ্টিপাতে সড়কে গাড়ি কম থাকলেও কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতায় যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কি.মি. পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বিকেল নাগাদ সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ইইউডি/এমজেএফ