পটুয়াখালী: পরিবেশের ভারসাম্য এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে তৈরি করা পটুয়াখালীর উপকূলীয় চরাঞ্চলের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনের গাছ মরে যাচ্ছে। আর মরে যাওয়া এসব গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন এলাকাবাসী।
তবে, এসব বনাঞ্চলে নতুন বনায়ন সৃষ্টির কথা বনবিভাগ বললেও টেকসই এবং লবণ সহিঞ্চু গাছ লাগানোর পরামর্শ পরিবেশবিদদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছের ওপরের অংশ নেই, পড়ে আছে গোড়ার অংশ। পটুয়াখালীর কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ফাতরার চর, গঙ্গামতিসহ রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন চরের সংরক্ষিত বনের দৃশ্য এভাবেই চোখে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, কুয়াকাটার লেম্বুরচর, ফাতরারচর,গঙ্গামতিসহ রাঙ্গাবালী উপজেলার বনাঞ্চলের সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও কয়েক হাজার একর জমির ওপর এসব বনাঞ্চল বিস্তৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব বনে কেওড়া, গেওয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছিল।
মরে যাওয়া এসব গাছ থেকে প্রথমে পাতা ঝরে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে পুরো গাছটি শুকিয়ে যায়। গাছের গোড়ায় বালু জমা পড়ায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে। আর মরা গাছ বনবিভাগ সংগ্রহ না করায় এলাকাবাসী তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মো. মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, যে গাছগুলো মারা যাচ্ছে এর বেশিরভাগই ম্যানগ্রোভ প্রজাতির অর্থাৎ শ্বাসমূল বিশিষ্ট। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীর তলদেশ ভরাট এবং উপকূলীয় চরাঞ্চল উঁচু হওয়ায় স্বাভাবিক জোয়ারের গতি রদবদল হচ্ছে। যে কারণে শ্বাসমূল বিশিষ্ট গাছ মরে যাচ্ছে।
তবে, ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ রক্ষার জন্য নতুন বনায়নের ক্ষেত্রে টেকসই এবং লবণ সহিঞ্চু গাছ লাগানোর পরামর্শ তার।
বালুর কারণে গাছ মরে যাওয়া আর মরা গাছ স্থানীয়রা কেটে নিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের কথা স্বীকার করে মরা গাছ সংগ্রহসহ এসব এলাকায় নতুন নতুন বন সৃষ্টির আশ্বাসের বানী শোনালেন পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫