ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

চিড়িয়াখানার অজগর ঘুরছে লোকালয়ে!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৫
চিড়িয়াখানার অজগর ঘুরছে লোকালয়ে! ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার খাঁচার ফাঁক দিয়ে পালিয়ে যাওয়া অজগরের খোঁজ মেলেনি ১২ দিনেও। তবে পালিয়ে যাওয়া দেখা গেছে অজগরটিকে লোকালয়ে।



নগরের কোর্ট এলাকায় অবস্থিত ফুড অফিসের পাশের একটি ড্রেনে সবশেষ গত ৩ মে অজগরটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন স্থানীয়রা। তবে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে খবর দেওয়ার আগেই অজগরটি পালিয়ে যায়। এ নিয়ে নগরবাসীর রয়েছে আতঙ্কে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু বাংলানিউজকে জানান, সোমবার তার ওয়ার্ডের ফুড অফিসের পেছনে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অজগর সাপটিকে একটি ড্রেনে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তার আগেই সাপটি পালিয়ে যায়। পরে যেখানে সাপটিকে দেখা গিয়েছিলো সেখান থেকে ৫০০ মিটার সার্কেল করে সাপটিকে খোঁজা হয়। কিন্তু পাওয়া যায়নি।

এখনও অজগরটির খোঁজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, অজগর সাপটি লোকালয়ে দেখা যাওয়ায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। খাঁচা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তারা দাবি করে আসছে সাপটি চিড়িয়াখানার মধ্যেই রয়েছে, তাই ভয়ের কিছু নেই। এক সময় না এক সময় অজগরটি ধরা পড়বে।

এ নিয়ে গত কয়েক দিন থেকে রুটিন করে ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল, ড্রেন ও ইঁদুরের গর্তে নানা কৌশলে খোঁজাখুঁজি করে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্মচারীদের। কিন্তু অজগরের কোনো হদিস বের করতে পারছে না তারা।

ফলে পালিয়ে যাওয়া অজগরটি নিয়ে বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। এ ব্যাপারে প্রথমে তিন ও পরে বর্ধিত করা ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটিও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- মহানগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহরাব হোসেন শেখ, চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফরহাদ উদ্দিন ও সুপারভাইজার আবদুল খালেক স্বপন।

সময় উল্লেখ না করা হলেও কমিটিকে শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে ১২ দিনেও তারা প্রতিবেদন দাখিল করেননি।

চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কমিটির সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। শিগগিরই অজগরটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনও দ্রুত দাখিল করা হবে।

কেউ সন্ধান পেলে আতঙ্কিত না হয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা থেকে নেট দিয়ে ঘেরা খাঁচার ফাঁক গলিয়ে পালিয়ে যায় একটি অজগর সাপ। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) থেকে অজগরটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গোপনে অজগরটির খোঁজ চললেও এখন পর্যন্ত তা উদ্ধার করতে পারেনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। দু’মাস আগে অজগরটি নওগাঁয় ধরা পড়ে। পরে বিভাগীয় বনবিভাগ তাদের কাছে অজগরটি হস্তান্তর করে বলে জানান চিড়িয়াখানার সুপারভাইজার আবদুল খালেক স্বপন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৫
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।