শ্রীমঙ্গল: পাখি বিষয়ক দেশের একমাত্র নিয়মিত প্রকাশনা ‘বাংলার পাখি’। নানা ধরনের পাখির পরিচিতি, পাখি বিষয়ক লেখা, পাখির উপর গবেষণা, নতুন তথ্য উপস্থাপনাসহ নানা বিষয়ের লেখা এখানে স্থান পায়।
ত্রৈমাসিক এ ম্যাগাজিনটি বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের (বাবাক) একটি নিউজলেটার। চলতি সংখ্যার উল্লেখযোগ্য আকর্ষণগুলো হলো: পাখিদেরও আছে নাকি মন বই নিয়ে মনোমুগ্ধকর আলোচনা করেছেন বরেণ্য সাহিত্যিক ও নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়া। পাখির পায়ে রিং পরানোর স্বপ্ন সম্পর্কে জানাচ্ছেন পাখিপ্রেমী ও গবেষক তারেক অণু।
এ ম্যাগাজিনের অন্যতম চমক– মায়া রোজ ক্রেইগ নামক এক কিশোরীকে নিয়ে প্রবন্ধটি। সে বাংলাদেশি-বৃটিশ নাগরিক। বয়স এখন বারো। সে বিশ্বের দশ হাজার পাখির মধ্যে তিন হাজার পাখি সরাসরি দেখে ফেলেছে। বাবাক আয়োজিত স্লাইড প্রদর্শনীর মাধ্যমে পাখি সংক্রান্ত ব্যতিক্রমী বার্ড-টক শোতে অংশগ্রহণ করে সবার নজর কেড়ছে সে।
খুড়লে পেঁচার ছানাকে নিয়ে একটি মজার অভিজ্ঞতার কথার লিখেছেন ফাতেমা মিলা। শিশু-কিশোরদের পাখি বিষয়ক নানা বই নিয়ে লিখেছেন ফাতেমা তুজ জোহরা। এছাড়াও পাখি সম্বন্ধে বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখেছেন পাখি গবেষক সামিউল মোহসেনিন, গাজী মুনছুর আজিজ, দিলীপ দাস বিসর্গ, কাজী আহমেদ হোসেন, ফারহাদ আহসান পাভেল প্রমুখ।
একশো বছর পরে বাংলাদেশে দেখা পাওয়া পাখি, পেরুর বনে অসাধারণ এক পাখির ছানার সন্ধান, প্রথমবারের মতো রিং পরানো কয়েকটি পাখির নাম প্রভৃতি নানা তথ্য ম্যাগাজিনটির শেষের দিকে পাখির খবর শীর্ষক পাতাটিতে রয়েছে। ম্যাগাজিনটির শেষের পাতার রয়েছে কালাগলা টুনটুনি পাখির একটি দারুণ ছবি।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের ট্রেজারার ও পাখিগবেষক ওমর শাহাদাত বলেন, আমাদের বাংলার পাখি নামক ত্রৈমাসিক এ সংখ্যাটি তিন মাস পর পর বের হয়। যেমন- জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চ সংখ্যাটি মে মাসে বের হয়। পরবর্তী মে-জুন-জুলাই সংখ্যাটি আগস্ট মাসে বের হবে।
একশ’ গ্রাম ওজনের গ্লোসি কাগজে চার রঙের ঝকঝকে ছাপা এ ম্যাগাজিনটি পাখিপ্রেমীদের জন্য হতে পারে দারুণ এক উপহার। আগ্রহীরা এই বিশেষ ম্যাগাজিনটি পেতে যোগাযোগ করতে পারেন: বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, অ্যাপার্টমেন্ট-৪বি, বাড়ি-১১, রাস্তা-৪, বনানী ডিওএইচএস, কাকলি, ঢাকা-১২০৬। ফোন: ওমর শাহাদাত ০১৯২৩-৫৩৫৮২৯।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৫
এএ