ঢাকা: বড় বড় ডাইনোসরের গল্প তো অনেক শোনা হলো। এবার শোনা যাক বামন ডাইনোসরের গল্প।
প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রথম দিককার এ ডাইনোসরটি টায়রানোসরাস রেক্স প্রজাতির সমজাতীয় বা কাছাকাছি গোত্রের হতে পারে। ওয়েলসে আবিষ্কৃত মাংসাশী ডাইনোসরের মধ্যে এটাই প্রথম।
নামবিহীন এ ডাইনোসরটির ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে গ্ল্যামরগান উপত্যকার পেনার্থের নিকটবর্তী লাভের্নক সৈকতে। জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেছেন ফসিল অনুসন্ধানকারী দুই ভাই নিক ও রব হানিগান।
ম্যানচেস্টার ও পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েলস জাতীয় জাদুঘরের বিশেষজ্ঞরা জীবশ্ম গবেষণা করে জানান, এখন থেকে দু’শ এক মিলিয়ন বছর আগে এরা এই এলাকায় স্থলভাগে বসবাস করতো।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নজীববিদ্যার সিনিয়র প্রভাষক ডক্টর নাড জানান, ওয়েলসে এ যাবতকালে এটা দ্বিতীয় আবিষ্কৃত ডাইনোসর। তবে এই বিরল প্রজাতির ডাইনোসর এখানে এটাই প্রথম।
ডায়নোসরটি নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। গবেষকরা আশা করছেন, পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যেই এই ডাইনোসরের নাম দেওয়া সম্ভব হবে।
পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর ডেভিড মার্টিল জানান, ইউরোপে এ সময়ের আবিষ্কৃত এটাই সবচেয়ে সুন্দর থেরোপড ডাইনোসর।
ছোট ও তীক্ষ্ণ দাঁত বিশিষ্ট এ ডাইনোসরটি ট্রায়াসিক যুগের শেষে বা জুরাসিক যুগের শুরুতে এসেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ওয়েলসে উষ্ণ জলবায়ু উপকূলীয় অঞ্চল থাকা অবস্থায় এরা এখানে বসবাস করতো। ডাইনোসরটির ছোট ধাঁরালো দাঁত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এদের খাদ্যতালিকায় ছিলো পোকামাকড়, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ।
লম্বা লেজের এ ডাইনোসরটি ছিলো ছোট, হালকা ও দুরন্ত। উচ্চতায় প্রায় দুই ফুট (২০ ইঞ্চি) ও লম্বায় প্রায় সাত ফুট (৭৯ ইঞ্চি)।
গবেষকদের ভাষ্য, এরা টেরানোসরাসের পরবর্তী দূরবর্তী আত্মীয়।
ছোট এ ডাইনোসরের ফসিল ইতোমধ্যে ওয়েলসের জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছে। প্রদর্শনী চলবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
এএ