ঢাকা: কাক বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে এমন জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে যা একজন মানুষ করতে গেলে তার বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে।
এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন পাখিদের গুণতে শেখানো সম্ভব।
গবেষণায় কাকের মাথায় বিজ্ঞানীরা এমন একটি স্নায়ু কোষের সন্ধান পেয়েছেন যা দিয়ে তারা গুণতে ও হিসাব করতে পারে। দ্য ইউনিভার্সিটি অব টুবিগিনর বিশেষজ্ঞরা গবেষণাটি শেষে একটি জার্নালে এর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
গবেষক হেলেন ডিজ ও প্রফেসর আন্দ্রেয়াস নাইদাস কাকের মস্তিষ্কে থাকা প্রতিটি স্নায়ু কোষের কার্যক্রম ধারণ করেন। গবেষণা কর্যক্রমের অংশ হিসেবেই তারা এই ভিজুয়াল ইনফরমেশন সংগ্রহ করেন।
এতে দেখা যায়, স্নায়ু কোষ বিন্দু আকার, ধরন এবং কীভাবে সাজানো রয়েছে তার চেয়ে সংখ্যার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। যখন একটি কাক তিনটি বিন্দুর দিকে তাকায়, তখন স্নায়ু কোষ দ্রুত হিসাব করে ফেলে একটি, একটি ও একটি বিন্দু নয় -‘তিনটি বিন্দু’। অর্থাৎ, দলবদ্ধভাবে হিসাব করে। এর মধ্যদিয়েই প্রমাণিত হয় তাদের গুণতে শেখার ক্ষমতা রয়েছে।
গবেষণাটিকে আলাদা করেই মজার বলা যেতে পারে, কারণ পাখির সঙ্গে মানুষের দূরত্ব অনেক। বরং কুকুর, ঘোড়াসহ অন্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ। ফলে ধারণা করা হতো, মানুষ ও পাখিদের মস্তিষ্কের গঠন একেবারেই আলাদা। কিন্তু এই গবেষণার পরে দেখা যাচ্ছে মানুষ ও পাখিদের অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে, যোগ করেন ডিজ।
নাইদাস বলেন, পূর্ব পুরুষদের ক্ষেত্রে সংখ্যা বিশ্লেষণ বিষয়ে আমাদের ধারণা যেমন ছিলো পাখিদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম। এটা জানার পরে আমরা খুবই বিস্মিত হয়েছি।
এ বছরের শুরুর দিকে দ্য ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-মিলওয়াকির বিশেষজ্ঞরা একটি গবেষণা শেষে বলেন, গোল্ডেন অর্ব-ওয়েব স্পাইডারও গুণতে পারে। তারা জাল পেতে অপেক্ষা করে আর গুণতে থাকে কতগুলো শিকার জমা হয়েছে। যদিও এর মধ্য দিয়েই এদের জাল থেকে মৃত শিকার চুরি করে নিয়ে যায় অন্য মাকড়শা!
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
এটি/এএ/এনএস/