ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা, জানালেন রাঙ্গা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা, জানালেন রাঙ্গা

রংপুর: তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা।

সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।



প্রতিমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন থেকে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার নদী শাসনের জন্য ১২৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

এসময় তিনি মোবাইল ফোনে পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সঙ্গে কথা বলে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানকে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা জাপা সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

এদিকে, গত ক’দিন ধরে অব্যাহত বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তায় ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীতে পানি আসায় উপকূলের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এতে গঙ্গাচড়ার নোহালী ইউনিয়নের বাঘ-ডোহরা, মিনার বাজার ও চর নোহালী গ্রাম; আলমবিদিতর ইউনিয়নের ব্যাংক পাড়া, জুম্মা পাড়া, জেলে পাড়া; কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, সাইদপাড়া, মটুকপুর, বিনবিনা; লক্ষীটারী ইউনিয়নের ইচলি, শংকরদহ ও ইশরকোল গ্রামের দেড় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে চিলাখাল এলাকার পাঁচশ’ ফুট বেড়িবাঁধসহ ৫০ পরিবারের ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।