ঢাকা: আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মুক্ত দিবস শুক্রবার (৩ জুলাই)। প্লাস্টিক, পলিথিন ও পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিন দিয়ে তৈরি দ্রব্যের ক্ষতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ এ দিবসটি পালিত হয়।
দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্যে, প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
শুক্রবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৫টি দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ এনভায়রনম্যান্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) দিবসটি উপলক্ষে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি, শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন করেছে।
জনস্বাস্থ্যে ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়ায় ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ সরকার।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও পরিবেশবাদীদের মতে, পলিথিন অপচশীল পদার্থ হওয়ায় দীর্ঘদিন প্রকৃতিতে অবিকৃত অবস্থায় থেকে মাটিতে সূর্যালোক, পানি ও অন্যান্য উপাদান প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। তা পচে না বলে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে ও উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের বিস্তারে বাধা তৈরি করে।
এছাড়া পলিথিন মোড়ানো গরম খারাপ খেলে মানুষের ক্যানসার ও চর্মরোগের সংক্রমণ হতে পারে। পলিথিনে মাছ ও মাংস প্যাকিং করলে তাতে অবায়বীয় ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়, যা দ্রুত পচনে সহায়তা করে।
অন্যদিকে, উজ্জ্বল রঙের পলিথিনে রয়েছে সীসা ও ক্যাডমিয়াম, যার সংস্পর্শে শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চর্মপ্রদাহের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (২০০২ সালের ৯ নম্বর আইন দ্বারা সংশোধিত) এর ৬ (ক) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার যে কোনো প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ, বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি অন্য কোনো সামগ্রী পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হলে, এরূপ সামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৫
টিএইচ/এএ