ভোলা: ভোলার ‘মনপুরায় হরিণের বিপদ’ শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে-চড়ে বসেছেন বন বিভাগ।
শিকারিদের হাত থেকে ও জলোচ্ছ্বাস থেকে হরিণকে নিরাপদে রাখাতে বন কর্মকর্তাদের আগের চেয়ে অধিক সতর্ক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) দুপুরে এ সংক্রান্ত জরুরি বার্তা মনপুরা উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়।
ভোলার বিভাগীয় বন অফিস সূত্র জানিয়েছে, হরিণ রক্ষায় মনপুরা উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা, হাজিরহাট বিট কর্মকর্তা ও পচা কোড়ালিয়া বিটের কর্মকর্তাদের কাছে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছে বিভাগীয় বন বিভাগ। একই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে অতিরিক্ত টহল টিম।
এছাড়াও হরিণের সমস্যা, শিকার, আবাসস্থল, খাদ্য ও মিঠা পানির সংকটসহ নানা বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
বনাঞ্চলের হরিণের বিচরণ, খাদ্য ও আবাসস্থল নিরাপদ করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে বন বিভাগের সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রুহুল আমিন বংলানিউজকে জানান, হরিণের সমস্যা ও সংকট নিয়ে বাংলানিউজে সংবাদ দেখেই হরিণ রক্ষায় বাড়তি সর্তকতা নেওয়া হয়েছে।
টহল টিম, বিট কর্মকর্তাদের জরুরি বার্তা পাঠানো ও হরিণের আভাসস্থল রক্ষায় বন বিভাগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে হরিণ নিরাপদে অবস্থান করতে পারবে বলে আশা রাখছি আমরা।
মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম নগর, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নরে চর পাতালিয়া, হাজিরহাট ইউনিয়নের বদনার চর, মনপুরা ইউনিয়নের ঢালচর, কলাতলী ও বাইশ্যার চর এলাকার সংরক্ষিত বনে ৭/৮ হাজার হরিণ রয়েছে।
এসব এলাকায় হরিণ অবাদে বিচরণ করে। কিন্তু প্রতিবছর চৈত্র মাসে বনে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এছাড়াও বনে মিঠা পানি, খাদ্যের সংকট, অতি জোয়ার আর শিকারিদের দৌরাত্মসহ নানা কারণে ভোলার মনপুরায় অনিরাপদ হয়ে উঠেছে বনের হরিণের বিচরণ। এসব সমস্যার কারণে দিন দিন হরিণের সংখ্যা কমে এসেছে। এতে বনের সৌর্ন্দয্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি পর্যটকদের আগমনও অনেকাংশে কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫
এসএইচ