ঢাকা: প্যাঙ্গোলিন। হঠাৎ নাম শুনে এই প্রাণীটির কথা মনে না এলেও বিখ্যাত কার্টুন পোকেমনের স্যান্ডস্ল্যাশ চরিত্রের কথা ভাবলেই মনে পড়বে অনেকের।
এদের বৈশিষ্ট্য হলো বাঘ-সিংহের মতো শিকারী প্রাণীরা আক্রমণ করলে এরা দ্রুত নিজেদের গুটিয়ে বলের আকৃতি ধারণ করে। এভাবে শিকারী প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচলেও, পাচারকারীদের হাত থেকে রেহাই মিলছে না প্যাঙ্গোলিনের।
এশিয়া ও আফ্রিকায় দেখা মেলে প্যাঙ্গোলিনের। শক্ত আঁশযুক্ত ও স্তন্যপায়ী এই ছোট্ট প্রাণিটি দেখতে খুব একটা সুন্দর না হলেও এশিয়ায় এবং বিশেষত চীনা ভোজনরসিকদের কাছে এর সুস্বাদু মাংসের জন্য জনপ্রিয়তার রয়েছে এদের।
ভিয়েতনাম এবং চীনের এসব ভোজনরসিকদের চাহিদা মেটাতে এবং কাঁচা টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর পাচারকারীরা।
এক সময় সম্মুখ যুদ্ধের পোশাকে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ লাগানো হতো বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।
ইতোমধ্যে প্যাঙ্গোলিনদের আট প্রজাতির মধ্যে চীনা প্যাঙ্গোলিনকে সবচেয়ে ‘বিপন্ন’ বলে ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সুরক্ষা জোট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের কারণে এমনিতেই পৃথিবী থেকে প্রচুর প্রাণি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাচারকারীদের তৎপরতা কিছু প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি আরও তরান্বিত করছে।
ইন্দোনেশিয়ায় বুধবার (০৮ জুলাই) ১.৩ টন হিমায়িত প্যাঙ্গোলিন উদ্ধার করা হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়।
প্যাঙ্গোলিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে গত বছর ব্রিটিশ রাজকুমার প্রিন্স উইলিয়াম বলেছিলেন, বেশি ভাগ মানুষ এই প্রাণী সম্পর্কে জানার আগেই এটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
চলতি বছর শুরুর দিকে টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সুরক্ষা জোটের উপদেষ্টা আনেত্তে ওলসনও বলেন, প্যাঙ্গোলিনের মতো প্রাণী দেখতে ভালো না হলেও সুস্বাদু মাংসের কারণে বিলুপ্তির হাত থেকে এদের রক্ষা করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৫
আরএইচ/এটি