ঢাকা: ভূ-পৃষ্ঠে বৃষ্টিপাত, গ্রীষ্মের তাপদাহ ও হেমন্তের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দ্রুত গলছে গ্রিনল্যান্ডের বরফ স্তর।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্যামুয়েল ও তার আন্তর্জাতিক মানের দল অ্যাবেরিসতিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লাসিওলজি বিভাগের গবেষক যৌথভাবে বরফের গতিবেগ, বরফ স্তরের উপর পানির চাপ এবং গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের বরফ স্তরে নদীর প্রভাব রেকর্ড করেন।
এছাড়াও ২০১১ সালের উষ্ণ আবহাওয়া, আগস্ট মাসের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত বৃষ্টিপাতও রেকর্ড করেন তারা। গবেষণায় দেখা যায়, ওই অঞ্চলে ঘূর্ণি আবহাওয়া বরফ গলা ও বৃষ্টিপাতে সহায়তা করছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থায়। ফলে পুরো পশ্চিমাঞ্চলে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বরফ প্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে।
ভূ-খণ্ডে বরফ স্তরের সঙ্গে খাদের সম্পর্ক রয়েছে। এটা অনেকটা গ্রামের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মতো। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে প্রাকৃতিক খাদে বরফ স্তরের উপর পানি জমায় বরফ গলে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। একইসঙ্গে পানির চাপে বরফ স্তরগুলোও সরে যায়।
এ প্রসঙ্গে ন্যাচারাল এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ কাউন্সিল (এনইআরসি) এবং দ্য রয়্যাল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটির অর্থায়নে চার বছর মেয়াদী এক গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অ্যালুন হাববর্ড বলেন, গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের এ অবস্থা উপ-গ্রহ এবং জিপিএস ট্রাকিং স্টেশনগুলোতে পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ছে।
দেখা যাচ্ছে, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বরফ দ্রুত গলায় স্থলভাগ চলে যাচ্ছে সমুদ্রগর্ভে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
এটি/এএ