জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে পৌর এলাকার মেষেরচর গ্রামে মুকুল মিয়ার কাঁঠাল গাছ থেকে এটিকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মেষেরচর গ্রামে মুকুল মিয়ার বাড়ির বাগানে একটি কাঁঠাল গাছের ওপর এই বিরল প্রজাতির বানরটি দেখতে পায়। পরে লজ্জাবতী বানরটিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বানরটিকে এক নজর দেখার জন্য এলাকার শত শত উৎসুক মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে এটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানাতেও এক নজর দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
একনজরে লজ্জাবতী বানর
লজ্জাবতী বানর (Slow loris) Primates বর্গের অন্তর্গত Loridae গোত্রের সদস্য। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis (আগের নাম ছিল N.coucang)।
লজ্জাবতী বানরের মাথাসহ দেহ ৩৩ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ১.২ কেজি হয়ে থাকে। এদেরকে জামালপুর জেলা সংলগ্ন গারো পাহাড়ের জঙ্গলসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্ব বনাঞ্চলে পাওয়া যায়।
লজ্জাবতী বানরের দেহ হালকা বাদামি থেকে ধূসর রঙের ছোট নরম পশম দ্বারা আবৃত। এদের মাথা গোলাকৃতি, বাদামি রঙের বলয়যুক্ত পেঁচার মতো চোখ, পশমের মধ্যে প্রায় ঢেকে থাকা খাটো লেজ এবং মাথার ওপর থেকে পিঠ পর্যন্ত লম্বা বাদামি দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
সাধারণত এরা মন্থরগতিসম্পন্ন চতুষ্পদ প্রাণী, কিন্তু প্রয়োজনে দ্রুতগতিতে কোনো কিছু বেয়ে ওঠার ক্ষমতা এদের রয়েছে।
লজ্জাবতী বানর অত্যন্ত শক্তভাবে যেকোন কিছু ধরতে পারে। এরা বৃক্ষবাসী এবং সাধারণত একাকী বাস করে। প্রায় সাত মাস গর্ভধারণের পর সাধারণত একটি বাচ্চা প্রসব করে। লজ্জাবতী বানর পাতা, মুকুল, ফল, সন্ধিপদ প্রাণী এবং পাখির ডিম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৫
এসএইচ