নেত্রকোনা: খোসা ছাড়ানোর পর ফলটি দেখতে অনেকটা লিচুর মতো। রসালো ও সুস্বাদু।
ফলটির নাম রাম্বুটান। নামের মতো ফলটিও ভিনদেশি। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ফল রাম্বুটান এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশেও।
ভারত সীমান্তঘেষা নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের ওসমান গণি নামে এক পল্লী চিকিৎসক দেশে এর চাষ শুরু করেছেন। এমনকি বছর বছর এর আবাদ থেকে বেশ অর্থও পাচ্ছেন তিনি।
থাইল্যান্ডের এ ফল বাংলাদেশে চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসমান গণি নিজেকে দেশের একমাত্র রাম্বুটান চাষি দাবি করে বাংলানিউজকে বলেন, তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন।
১৯৯৩ সালে দেশে ফেরার সময় পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানোর উদ্দেশে ২ কেজি রাম্বুটান নিয়ে আসেন। ফল খেয়ে বীজ ফেলে দেওয়ার পর দুটি চারা গাছের জন্ম হয়। চারা গাছ বড় হওয়ার পর একটি গাছ প্রথম ফলন আসে ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে।
তিনি জানান, এক একটি গাছ থেকে মৌসুমে ৪০ থেকে ৫০ কেজি রাম্বুটান সংগ্রহ করেন তিনি। প্রতিকেজি ফল স্থানীয় বাজারে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এভাবে প্রতি মৌসুমে তার আয় প্রায় লাখ টাকা।
সম্প্রতি নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার রাম্বুটান ফলটি দেখতে হরিপুর গ্রাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পল্লী চিকিৎসক ওসমান গণিকে এর চাষাবাদে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ওসমান গণির বাড়িতে কথা হয় নেত্রকোনা শহর থেকে রাম্বুটান কিনতে আসা ভোজনরসিক আইনজীবী নূর-ই- এলাহি খান, আইনজীবী মানবেন্দ্র বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাবিবুর রহমান খান রতনের সঙ্গে।
তারা ফলটির বেশ প্রশংসা করে জানান, ব্যস্ততার মধ্যে তারা প্রতি বছর ফলটি পাঁকার সময় হলেই পরিবার ও বন্ধুদের জন্য সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
রাম্বুটান সম্পর্কে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে জানান, রাম্বুটান চাষের জন্য গাছে তেমন কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
তিনি আরো জানান, রাম্বুটান বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এর চাষ করে কৃষকরা কম পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৫
এসআর/এটি