বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় উদ্ধারকৃত হরিণ দু’টিকে বরগুনার সংরক্ষিত বন বাইনচটকি (টুলুর) চরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম হরিণ দু’টিকে বরগুনার সংরক্ষিত বনাঞ্চল বাইনচটকি (টুলুর) চরে অবমুক্ত করেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাখাওয়াত হোসেন সরকার, সহকারী বন সংরক্ষক আলতাফ হোসেন, কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার এম এ রউফ, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু প্রমুখ।
শনিবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদী সংলগ্ন বাদুরতলা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে দু’টি জীবিত হরিণ ও ১৪১ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, বিষখালী নদী হয়ে একটি ট্রলারে করে হরিণ ও হরিণের মাংস পাচারের উদ্দেশে নেওয়া হচ্ছিল, এমন খবরের ভিত্তিতে গভীর রাতে অভিযান চালানো হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিষখালী নদী সংলগ্ন বাদুরতলা এলাকা থেকে ওই ট্রলারটি ধাওয়া করলে পাচারকারীরা নদীর তীরে ট্রলারটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলার থেকে দু’টি জীবিত হরিণ ও ১৪১ কেজি তাজা মাংস উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাংস ও জীবিত হরিণ দু’টি পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে সহকারী বন সংরক্ষক আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে পাথরঘাটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বণ্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করলে আদালত হরিণ দু’টিকে অবমুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এবং উদ্ধারকৃত মাংস দুই কেজি শুকিয়ে আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করে বাকি মাংস মাটি চাপা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
সহকারী বন সংরক্ষক আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদলতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মহোদয়কে নিয়ে হরিণ দু’টিকে বাইনচটকির চরে অবমুক্ত করা হয়েছে। মাংস নিয়মানুযায়ী মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।
জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম কোস্টগার্ডকে সফল অভিযান পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে। হরিণ উদ্ধারের বিষয়টি আমাকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন হরিণ দু’টিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল বাইনচটকি(টুলুর) চরে অবমুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
আরএ