ঢাকা: বায়ু দূষণ গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার শহরগুলোর। চরম হুমকিতে শহরের অধিবাসীরা।
সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা জানান বিজ্ঞানীরা।
তাদের মতে, পশ্চিম আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান ও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও পৃথিবীর যে অঞ্চলগুলোর বায়ুমণ্ডল নিয়ে সবচেয়ে কম গবেষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে এটি একটি।
নাইজেরিয়ার লাগোস, ঘানার এক্রা ও আইভরি কোস্টের আবিদজানের মতো শহরগুলো ক্ষতিকর অ্যারোসল এবং বায়বীয় দূষণকারী উপদান উৎপন্ন করছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, ওইসব অঞ্চলের মানবস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও আবহাওয়ার দিকে এখনই বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। বায়ু দূষণ মৌসুমী বায়ু পরিবর্তনের কারণ হতে পারে।
দ্য কার্লশ্রুহি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক পিটার নাইপারজ দ্য ইউনিভার্সিটি অব লিডস এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের সহায়তায় ইইউ’র অর্থায়নে এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।
তারা আরও সতর্ক করেন, ওই অঞ্চলের গ্রিনহাউজ-গ্যাসের প্রভাবে উষ্ণায়ন ও বিশেষত মৌসুমী প্রবাহ পরিবর্তনের বিষয়ে।
দ্য ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের দ্য উলফসন অ্যাটমোসফেয়ারিক ক্যামিস্ট্রি ল্যাবরেটরির অধ্যাপক ম্যাট ইভান বলেন, ওই অঞ্চলে যে ভীষণভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কেবল বৃষ্টিপাতের দিকে নজর দিলেই বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, নীতি নির্ধারকদের উচিত ওই অঞ্চল সম্পর্কে গবেষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া। যদি আমরা পরিকল্পনা করি কীভাবে এগুলো মোকাবেলা করা যায়, তবে সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকায় কি করা যায়, সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের হাতে নেই।
প্রাথমিকভাবে বলা যেতে পারে, সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান করতে হলে আমাদের তিন ধাপে কাজ করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ৫ বছর, এরপর ১০ বছর এবং মোট সময় ৫০ বছর ধরে নিতে হবে।
মনে হতে পারে, বায়ু দূষণের ফলে কেবল ওই অঞ্চলের মানুষগুলো হুমকির সম্মুখীন। কিন্তু এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়বে, যোগ করেন তিনি।
সবচেয়ে বড় আকার নেবে মাইগ্রেশন সমস্যা। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনে যদি ওই অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়, তবে অবশ্যই তারা অন্য অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করবে। ইতোমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
এটি/এএ