ঢাকা: মনুষ্য সমাজের বাইরে যৌন হয়রানি শব্দটি শুনলে সত্যিই চমকাতে হয়। সাধারণত প্রাণিকূলে এ ধরনের ঘটনা শোনা যায় না বললেই চলে।
কিন্তু নতুন একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, নারী গাপ্পি মাছ ভালো সাঁতার শিখে যায় মূলত পুরুষ মাছের হাত থেকে বাঁচতে!
বিশেষজ্ঞদের মতে, চর্চার মাধ্যমে নারী গাপ্পি মাছ তাদের সাঁতার কাটার পদ্ধতিতে এমন বিজ্ঞানসম্মত পরিবর্তন আনে, যেমনটা আমাদের ভালো সাঁতারুদের মধ্যে দেখা যায়।
দ্য ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো’র গবেষক ডা. সাউন কিলেন বলেন, প্রাণিকূলের মধ্যে অনেক প্রজাতির বংশবিস্তার সীমিত। এর কারণ তাদের মিলনের সুযোগ কম। যে কারণে অনেক সময় কিছু প্রাণীর ভেতরে আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা যায়।
নারী গাপ্পিদের কাছে পুরুষ মাছের আচরণ অনেকটা যৌন হয়রানি। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে নারীরা প্রচুর শক্তি খরচ করে এবং কখনও কখনও আহত হয়।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় ছিলো। সেটি নারী মাছের আচরণ পরিবর্তন করা। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে তারা পুরুষদের কবল থেকে বাঁচার উপায় বের করে।
একই বিষয় নিয়ে দ্য ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার ড. কিলেন তার গবেষণাগারে পুরুষ ও নারী গাপ্পিদের একত্রে রেখে দেখেন, পুরুষ মাছ প্রাকৃতিকভাবেই আক্রমণাত্মক।
পাঁচ মাস পরে দেখা গেলো, নারী মাছগুলোকে হয়রানির মাত্রা আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে পুরুষ মাছগুলো। পাশাপাশি নারী মাছগুলো বেশি ভালো সাঁতার শিখে
ফেলেছে।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সাফি ডারডেন বলেন, পুরুষ গাপ্পি মাছের বংশবিস্তারে অধিকাংশ সময় কেটে যায় মিলনের চেষ্টা করতে। পুরুষ মাছ মিলনে যতটা আগ্রহী, নারী মাছ ততটাই বিরোধী।
নারী মাছের সাঁতারের কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেবল কৌশলের কারণেই তারা অল্প পরিশ্রমে দ্রুত চলতে পারে। ফলে হয়রানির শিকারও কম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৫
এটি/এএ