ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জীবাশ্ম তেল বর্জনের প্রথম ঘোষণা সুইডেনের

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
জীবাশ্ম তেল বর্জনের প্রথম ঘোষণা সুইডেনের

ঢাকা: এক কোটি জনসংখ্যার দেশ সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোভেন এবার জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা দিয়েছেন, জীবাশ্ম তেল বর্জনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রথম কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করবেন তারা।

যখন ১শ ৪৬টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে আগামী মাসে প্যারিসে একত্রিত হতে যাচ্ছেন, তখন সুইডেনের এমন দৃঢ় পরিকল্পনা নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।



বাস্তবতা হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রসঙ্গ আসার পর থেকেই নরডিক দেশের অবস্থান শক্ত। উদাহারণ হিসেবে বলা যেতে পারে ডেনমার্কে কথা। গ্রীষ্মকালেও তারা দেশের মোট চাহিদার ১শ ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাতাস থেকে।

অন্যদিকে, নরওয়ে তার মোট চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পানি ব্যবহার করে। কেবল তাই নয়, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎচালিত যানবাহন সেখানেই দেখা যায়। আইসল্যান্ড ইতোমধ্যে ৮৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন শুরু করেছে।

এরপরও মোটরগাড়ি উৎপাদন অব্যাহত রেখে সুইডেন কীভাবে সামনের কাতারে দাঁড়াবে সেটাই দেখার বিষয়। তবে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার বৃহত্তম এই দেশ ইতোমধ্যে তাদের লক্ষ্যের দিকে অনেকটা পথ হেঁটে ফেলেছে। বর্তমানে মোট চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ তারা নন-ফসিল ফুয়েল থেকেই উৎপাদন করছেন। যাই হোক, তাদের এ চাহিদা পূরণ হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি থেকে।

তাদের মতে, এটি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষার লক্ষ্যমাত্রা। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সুইডেন সরকারের শক্তি এবং পরিবেশমন্ত্রী ২০১৬ সালেই সোলার-সেল রিসার্চ ও ইলেক্ট্রিক ভেকেল টেকনোলজি প্রকল্পে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ক্রাউন (৫৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করেন।

কৌতুহলের বিষয়, সুইডেন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে তাদের বিনিয়োগ আটকে রাখছে না। এ তহবিলের কিছু অর্থ ব্যয় করা হবে বিদেশি দরিদ্র দেশের টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে।

সেই অর্থে সুইডেন নেতৃত্বে যাওয়ার পাশাপাশি ধনী কোম্পানিগুলোকেও নাড়া দিতে চাইছে।

উন্নত দেশগুলোর বিশেষ দায়িত্ব, ‘ক্লিন এনার্জি সিস্টেম’ বাস্তবায়ন করা, বলেন সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও দায়িত্ব নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে সহায়তা দেওয়া।

যদিও ঠিক কোন সময় শতভাগ নবায়নযোগ্য সমাজে পৌঁছাবে সুইডেন, তা এখনও নির্ধারণ করেনি দেশটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
এটি/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।