ঢাকা: নগরীর যান্ত্রিকতা ভুলে একটু সবুজ-শ্যামলের ছোঁয়া পেতে তরুপল্লবের আয়োজনে বসেছিল প্রকৃতিপাঠের আসর।
শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) পৌষের সকালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল সংলগ্ন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বোটানিক্যাল গার্ডেনে হয়ে গেলো সংগঠনের ২১তম গাছ দেখা গাছ চেনা অনুষ্ঠান।
ঢাবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে উপস্থিত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রকৃতিপ্রেমীকে বিভিন্ন গাছের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন সুন্দরী, রিঠা, আগর, তেলসুর, গর্জন, ব্রেডফ্রুট, বিলেতি বেল, কুরচি, বাওবাব, কোকো, রাম্বুটান, লেডিসআম্ব্রেলা, বনপান বা খাসিয়া পান, উদাল, দুলিচাঁপা, পাইন, বাঁশপাতি, বাসরলতা, শিমুল ইত্যাদি গাছের সৌন্দর্য, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
একইসঙ্গে ধ্বনিত হয় বৃক্ষ ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকারও।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কথাশিল্পী বিপ্রদাশ বড়–য়া, উদ্ভিদবিদ শামসুল হক, সাংবাদিক প্রণব সাহা, বিটিভির পরিচালক গোলাম শফিক, তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বৃক্ষ রোপণ, সংরক্ষণ ও পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে কথা বলেন অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, বিপ্রদাশ বড়–য়া ও মোকারম হোসেন প্রমুখ। তারা বলেন, বৃক্ষ আমাদের সভ্যতার অংশ। বৃক্ষ ছাড়া জীবনের একটি মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না।
এছাড়া আগামীকাল ২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখ সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং তরুপল্লবের যৌথ আয়োজনে সেখানকার গাছগুলোয় নামফলক স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।
অনুষ্ঠানে উদ্ভিবিজ্ঞানী অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুও উপস্থিত থাকবেন। এ অনুষ্ঠানে যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের সকাল ১০টার মধ্যে উদ্যানের মূল ফটকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর রমনাপার্কে গাছ চেনানোর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তরুপল্লবের যাত্রা শুরু। গাছ চেনানোর অনুষ্ঠান ছাড়াও সংগঠনটি উদ্যান কর্মীদের নিয়ে কর্মশালা, বৃক্ষরোপণ ও প্রকৃতি বিষয়ক সাময়িকী প্রকাশনাসহ নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৫
এএ