বুধবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'ট্যানারি দূষণ থেকে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী রক্ষায় করণীয়' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় একথা জানান তিনি।
আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
শাজাহান খান বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী হাজারিবাগের ট্যানারির বর্জ্যে দূষিত হতো ৩০ শতাংশ। এখন ট্যানারির বর্জ্যে ধলেশ্বরী নদীও দূষিত হচ্ছে। ঢাকা শহরে ৫৬টি খাল রয়েছে। সেগুলির অধিকাংশেরই কোনো অস্তিত্ব নেই । এই খাল রক্ষা করার দায়িত্ব ওয়াসার। তবে সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে যেটা আমার দায়িত্ব সেটা আমি করবো।
তিনি বলেন, আমি বুড়িগঙ্গা যাওয়ার আগে কোনো এমপি, মন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। ট্যানারি মালিকরা কোনোভাবেই হাজারিবাগ থেকে যাবেন না। তাদের কোনো মানসিকতাও ছিল না। হাজারিবাগ থেকে যাওয়ার জন্য ট্যানারি মালিকদের ২৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার। এই টাকার মালিক তো জনগণ।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে ওই জায়গায় মানুষ রীতিমতো নির্যাতনের শিকার হতো। এক সময় পকেটমারের আস্তানা ছিল। আমি যখন ওই জায়গা পরিষ্কার করি তখন আমাকে বিব্রত হতে হয়েছে। ২০১০ সালের পহেলা জুলাই ইজারাদারদের ব্যবসা বন্ধ করে দেই। হকারমুক্ত করতে আমাকে মাঝ মধ্যে হানাও দিতে হয়েছে।
বাপার রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশ ট্যানারি হাজারিবাগের ২৫ হেক্টর জমির উপর গড়ে উঠেছিল। ট্যানারি ছিল ২৩০টির বেশি। এখনও পরিবেশ ক্ষতি করে ট্যানারি চালু রয়েছে। হাজারিবাগের অনেক ট্যানারি এখন বাসা-বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তাই বুড়িগঙ্গা দূষণ এখনো চলমান।
বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমএসি/এএ