সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গেলো এ মাকড়শা প্রজাতিটির এক দৈত্যাকার সদস্যকে। এর ব্যাস ৭ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার।
দৈত্যাকার মাকড়শাটি পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট্রাল কোস্ট এলাকায়। বর্তমানে মাকড়শাটি রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান রেপটাইল পার্কে। পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, মাকড়শাটির বড় বড় বিষদাঁতগুলো সর্বক্ষণই তরল বিষে ভিজে থাকতে দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ায় ফানেল ওয়েব মাকড়শাদের বেশি দেখা মেলে বর্ষাকালে। সেই হিসেবে এখন চলছে এ মাকড়শাদের ভরা মৌসুম। এদের রং কালো এবং দেহ লোমশ। আর্দ্র বা স্যাঁতসেঁতে এলাকা পছন্দ করে এরা।
এ প্রজাতির নারী মাকড়শার ব্যাস ২ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়ে এবং পুরুষদের আকৃতি নারীদের চেয়ে কম হয়। এদের জাল ফানেল আকৃতির হওয়ার কারণেই এমন নামকরণ।
আগে এ মাকড়শার কামড়ে মানুষের মৃত্যুর খবর মিলতো। তবে ১৯৮১ সালে এ বিষের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পর থেকে এমনটা ঘটতে দেখা যায়নি।
তবে এ মাকড়শার ভয়ানক বিষেই রয়েছে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন, যা সাহায্য করে ব্রেন ড্যামেজ সারাতে। এমনকি স্ট্রোক হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরও তা কাজ করবে ব্রেন ড্যামেজ থেকে বাঁচাতে, এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এনএইচটি/এএ