শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সকাল থেকে জেলার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় খুলনা জেলাসহ নয় উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এদিকে, ক্ষেতে আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। শনিবার (০৯ নভেম্বর) মধ্যরাতের দিকে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে ‘বুলবুল’ কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। এজন্য দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাগরে চলাচল না করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল ৪টায় খুলনা সার্কিট হাউজে ‘বুলবুল’র প্রভাব মোকাবেলা ও সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা আহ্বান করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি ৩৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় ২৪ হাজার ৬০ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআরএম/এনটি