আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, জানুয়ারিতে অন্তত দু'টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
এছাড়া দু থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস রয়েছে।
প্রবাদ আছে ঊনো বর্ষায় দুনো শীত। অর্থাৎ, যে বছর বৃষ্টি কম, সে বছর শীত বেশি। প্রকৃতি যদি এই মেনে চলে তাহলেও এবার শীত বেশি হওয়ারই কথা। কেননা, এবারের বর্ষা মৌসুমে তুলনামূক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাহনাজ খান জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দু’টি মৃদু অথবা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর রাতের শেষ থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে দেশের ওপর দিয়ে দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং দু'টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর রাতের শেষ থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
ইতোমধ্যে পূর্বাভাসটি কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সারাদেশে শীত নেমে এসেছে হিম ছড়িয়ে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে নামানো হয়েছে শীতের কাপড়ও। ধীরে ধীরেই এটা বাড়ছে।
এদিকে আবহাওয়াবিদ দিলরুবা বেগম কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, দৈনিক গড় সূর্য কিরণের স্থায়িত্ব গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়ছে। পুরো সপ্তাহজুড়ে সূর্য কিরণের স্থায়িত্ব দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫০ ঘণ্টা থেকে ৭ দশমিক ৫০ ঘণ্টা। আর গড় বাষ্পীভবন হবে ২ দশমিক ২৫ মিলিমিটার থেকে ৩ দশমিক ৫০ মিলিমিটার। আর এসময় সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা কুয়াশা পড়বে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ রয়েছে। যার কারণে আকাশ মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়বে। আর রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
সপ্তাহের শেষ নাগাদ তাপমাত্রা আরও কমবে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপামাত্রা ছিল টেকনাফে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
ইইউডি/এএ