ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বন্যা পরিস্থিতি বিস্তৃত হচ্ছে মধ্যাঞ্চলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
বন্যা পরিস্থিতি বিস্তৃত হচ্ছে মধ্যাঞ্চলে

ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরে ও ভারতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি ইতোমধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর যমুনার পানি আরো নিচের দিকে নেমে মধ্যাঞ্চলের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাড়ছে পদ্মার পানিও। ফলে বুধবার নাগাদ গোয়ালন্দ, আরিচা ও ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মা এবং যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদীগুলো ছাড়া অন্য প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃহস্পতিবার নাগাদ বাড়বে।
 
মঙ্গলবারের মধ্যে পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ও বুধবারের মধ্যে আরিচায় যমুনার পানি ও ভাগ্যকুলে পদ্মার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।


 
এদিকে তিস্তা ও ধরলার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এলেও ধরলার পানির উচ্চতা অপরিবর্তিত থাকবে।
 
বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায়। আর লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিলেট, নেত্রকোণা এবং সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি মঙ্গলবারের মধ্যে কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
 
পাউবো পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে ১১টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি উঁচুতে প্রবাহিত হচ্ছে বাহাদুরাবাদে যমুনা নদীর পানি। বর্তমানে এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার (সেমি) উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ডালিয়ায় তিস্তার পানি ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, গাইবান্ধায় ঘাঘটের পানি ৫৩ সেমি উপর দিয়ে, নুনখাওয়ায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬৪ সেমি উপর দিয়ে, চিলমারীতে ৭৭ সেমি উপর দিয়ে, যমুনার পানি ফুলছড়িতে ৭৮ সেমি উপর দিয়ে, সারিয়াকান্দি ও কাজিপুরে ৫৮ সেমি উপর দিয়ে এবং সিরাজগঞ্জে ২৮ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
এছাড়া সুরমার পানি কানাইঘাটে বিপৎসীমার ৪৫ সেমি উপর দিয়ে, কুশিয়ারার পানি সুনামগঞ্জে ৩৩ সেমি উপর দিয়ে, পুরাতন সুরমার পানি দিরাইয়ে ৩ সেমি উপর দিয়ে এবং সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
‌আবহাওয়া অধিদফতর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।  বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বুধবার পর্যন্ত।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।