ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

দীর্ঘায়িত হতে পারে বন্যা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
দীর্ঘায়িত হতে পারে বন্যা জরুরি সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি ১৯৮৮ সালের মতো হবে না জানিয়ে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) বলছে, বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে।

পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং ব্যবহার বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস বন্যা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি রাখতেও বলেছে।

বুধবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে জুম প্ল্যাটফর্মে ‘বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বন্যা মোকাবিলায় করণীয়’ সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় অংশ নিয়ে এ পরামর্শ দেন সিইজিআিইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা।

সভায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে সিইজিআিইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা জানান, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও তা '৮৮ মত হবে না। বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে, তাই সব প্রস্তুতি রাখা সমীচীন হবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিপৎসীমার ওপরে নদীর সংখ্যা ১৬। আগামী মঙ্গলবারের (২৮ জুলাই) মধ্যে যমুনা এবং বুধবারের মধ্যে পদ্মার পানি সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে তা অব্যাহতভাবে হ্রাস পেতে থাকবে।

বুয়েটের অধ্যাপক, পানি ও বন্যা ইনস্টিটিটিউটের সাইফুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা বাঁধ মেরামতের চেয়ে কেন বাঁধ ভাঙে তা পর্যালোচনা করে আবহাওয়া পূর্বাভাসকে আরও শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী করার পরামর্শ দেন।

প্রকৌশলীদের মাঠে থাকার নির্দেশ
বন্যায় মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

তিনি বলেন, প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সব জায়গায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি, নজরদারি এবং জিও ব্যাগ নিয়ে প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। বাঁধ যাতে না ভাঙে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক খবর রাখতে হবে।  

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী। মাঠ পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা আগামীতে সব জেলাকেই স্থায়ী বাঁধপ্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবো। এরই মধ্যে নেওয়া সব নতুন প্রকল্পই স্থায়ী বাঁধের আদলে ডিজাইন করা। মানবতার সেবায় আমরা সবাই কর্মীর মতোই কাজ করে যাবো।

করোনাকালে নিজেদের সুরক্ষায় সতর্ক করে উপমন্ত্রী বলেন, কেউ করোনাক্রান্ত হলে মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে না বরং আগেই আমাদের সবাই প্রস্তুতি রাখতে হবে। আসন্ন ঈদের ছুটিতেও আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন।  

সভায় অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম ও রোকনুদ্দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবীবুর রহমান এবং জেলা পর্যায়ের প্রকৌশলীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।