ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

খুলনায় ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
খুলনায় ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

খুলনা: অগ্নিদহনে পুড়ছে ভৈরব-রূপসা বিধৌত খুলনা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) খুলনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অসহনীয় উত্তাপ গত ৭ বছরের মধ্যে খুলনাবাসী অনুভব করেনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কড়া রোদের চোখরাঙানিতে রোজাদাররাও কাহিল হয়ে পড়ছেন।

তীব্রতাপদাহ
এতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। অনেকটা যেন আগুন ঝরা আবহাওয়ায় একেবারে তেতে উঠেছে রাস্তাঘাট। বাইরে বের হলে চোখ-মুখ পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এমনকি ঘরেও স্বস্তি নেই। বৈদ্যুতিক পাখা তো দূরের কথা এসিতেও কাজ হচ্ছে না।

এক পশলা বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে চেয়ে রয়েছে মানুষ ও প্রাণিকুল। প্রতি বছর বৈশাখে সাধারণত ঝড়-ঝঞ্ঝা লেগেই থাকে। এবার খুলনায় বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচণ্ড গরমের ফলে বোটা শুকিয়ে খসে পড়ছে গাছের আম ও লিচু। দিনভর সূর্যতাপে নুইয়ে পড়ছে গাছের পাতাও। ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির। নেতিয়ে পড়ছে সবজি। ফসলি ক্ষেত বৃষ্টির অভাবে ক্ষতির সম্মুখীন। শহর থেকে শুরু করে পানির জন্য চলছে হাহাকার। খুলনাঞ্চলের অনেক এলাকায় ইস্তিসকার বা বৃষ্টির নামাজ পড়ছেন এলাকাবাসী।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ছে ফসলের ক্ষেত। সম্প্রতি বছরের মধ্যে এবার খরা বেশি। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস বৃষ্টি হয় না। দীর্ঘ খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরমুজ ক্ষেত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নদী-খালগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনে এ অঞ্চলের কৃষি হুমকির মধ্যে পড়বে।

একদিকে, অনাবৃষ্টির কারণে বাড়ছে গরমজনিত রোগ। তাপমাত্রার দাপট আর অন্যদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাড়তি চাপ হিসেবে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতল, সদর হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষজনের ভর্তি হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, খুলনায় রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৭ বছরে খুলনার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে ওঠেনি।

তিনি জানান, তাপ প্রবাহের কারণে প্রচণ্ড গরমে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের তীব্র তাপদাহ আরও কয়েকদিন থাকবে। আপাতত ২/৩ দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।