ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

স্বস্তি ফিরছে উপকূলে

শফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
স্বস্তি ফিরছে উপকূলে ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে গত দু’দিন একের পর এক বাঁধ ভেঙে ও উপচে প্লাবিত হয়েছে বরগুনার কয়েকশ’ গ্রাম। তবে ভারতে ইয়াস আঘাত হানার পর কমতে শুরু করেছে জোয়ারের উচ্চতা।

বাঁধ ভেঙে এবং বাঁধের ওপর দিয়ে উপচে পড়া পানি এখন নামতে শুরু করেছে। উপকূলবাসীর এখন মনে ইয়াসের আতঙ্ক নেই, ফলে স্বস্তি ফিরছে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে কিছু জায়গায় নিচু হওয়ায় ওইসব এলাকার পানি নামতে আরও দু’একদিন সময় লাগবে।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বুধবার (২৬ মে) সকালের জোয়ারের থেকে রাতের জোয়ারে কমেছে পানির উচ্চতা। এতে বরগুনার নদী ও সমুদ্রে তীরবর্তী বাসিন্দাসহ দুর্গত মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফেরা শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা জানায়, বুধবার সকালে বরগুনার নদ-নদীতে জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৬৮ মিটার এবং রাতের জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৪৮ মিটার। যা দিনের জোয়ারের থেকে ২০ সেন্টিমিটার কম। এছাড়া বুধবার দিনের জোয়ারের সময় বরগুনার নদ-নদীতে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও রাতের জোয়ারে প্রবাহিত হয়েছে ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। যা দিনের জোয়ারের থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার কম।

পাউবো বরগুনার পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তীসময়ে বুধবার পূর্ণিমা ছিল। তাই আমাদের ধারণা ছিল- দিনের জোয়ারের থেকেও রাতের জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি হবে। কিন্তু তা না হয়ে দিনের থেকেও রাতের জোয়ারের পানির উচ্চতা হয়েছে কম।

ছবি: বাংলানিউজ
বরগুনা সদর ও পাথরঘাটার একাধিক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময় জোয়ারের উচ্চতা একবার কমা শুরু করলে আর বাড়ে না। এরপর পানির উচ্চতা কমতে কমতে একেবারে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। তাই ঘূর্ণিঝড় আর পূর্ণিমার জন্য সৃষ্ট জোয়ারের উচ্চতা আর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বিষখালী নদী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসনের বাসিন্দা আ. কুদ্দুস মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত দু’দিনের প্রতিটি জোয়ারে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য ভেবেছিলাম বুধবার রাতের জোয়ারে দিনের জোয়ারের থেকেও পানির উচ্চতা বেশি হবে। তাই ঘরে না থেকে জোয়ারের আগেই রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি। কিন্তু জোয়ারের উচ্চতা দিনের তুলনায় বাড়েনি, বরং কমেছে।

পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এলাকায় নিচু হওয়ায় এখনো পানি নামতে পারেনি। এ পানি নামতে আরও দু’একদিন সময় লাগবে।

পাউবো বরগুনারের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার দিনের জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে জেলার বিভিন্ন স্থানে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। পরে ভাটার সময় ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু রাতের জোয়ারের পর কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে বা উপচে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার কোনো খবর পাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।