ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

চট্টগ্রামে ১৬১ মিলিমিটার বর্ষণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
চট্টগ্রামে ১৬১ মিলিমিটার বর্ষণ

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও চট্টগ্রামে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬১ মিলিমিটার, যা চলতি মৌসুমের রেকর্ড।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে ১৬১ মিলিমিটার, ফেনীতে ১০৪ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১০০ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্টে ৮৭ মিলিমিটার, ঢাকায় ৮৮ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৮৩ মিলিমিটার, রাঙামাটিতে ৫০ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ৪৮ মিলিমিটার ও ভোলায় ৪৭ মিলিমিটার।

আবহাওয়াবিদরা ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত বর্ষণকে ভারী ও তার বেশি বর্ষণ হলে অতিভারী বৃষ্টিপাত বলে গণ্য করেন। ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ কয়েকদিন ধরে টানা চললে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকে। বর্তমানে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসের আভাস নেই।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। লঘুচাপের অপর একটি বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।

এ অবস্থায় আগামী বুধবার (২ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ী দমকায় ৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

আগামী বৃহস্পতিবার (৩ জুন) নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আর বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, রাজশাহী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দেশের অন্যান্য স্থানে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সেসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।