কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে চার দিনের ব্যবধানে তিন গ্রামের আড়াই শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে মানুষ। তিস্তার প্রবল ভাঙনে বিলিন হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, বজরা পশ্চিমপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পুরাতন বজরা বাজার ও একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম কালপানি বজরা, কালপানি বজরা ও সাতালস্কর গ্রামের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলমান ভয়াবহ ভাঙনের তীব্রতায় বাড়ীঘরের পাশাপাশি ৫শ বিঘা ফসলি জমিসহ মানুষের শেষ সম্বলটুকুও গ্রাস করেছে তিস্তা। ভাঙনের তীব্রতায় চোখের নিমিষে নদীগর্ভে বিলিনের হাত থেকে বাঁচতে ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।

বজরা ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত মোজাম্মেল হক (৬৫) বাংলানিউজকে জানান, তিস্তার ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারায়া তিন দিন থাকি খোলা আকাশের নিচে আছি, যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। পাশে একজনের বাড়ির আঙিনাত আপাতত আশ্রয় নিচি, পরেকই যামো জানি না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, দুই যুগ আগে তিস্তার মূল নদীর স্রোত ছিল এই এলাকা দিয়ে। গ্রামগুলোর উজানে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেওয়ায় এখানে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
এফইএস/এএটি