ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ভারী বর্ষণে বৈরী পরিবেশ, সর্দি-জ্বরে ভুগছেন অনেকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
ভারী বর্ষণে বৈরী পরিবেশ, সর্দি-জ্বরে ভুগছেন অনেকে ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশেই মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও হচ্ছে অতি ভারী বর্ষণ।

মৌসুমের শেষের দিকে এসে টানা বর্ষণ ও সূর্যকিরণ না থাকায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে দেশবাসী।

দিনের বেলায় অপেক্ষাকৃত মোটা কাপড়ের প্রয়োজন পড়ছে, রাতে গায়ে দিতে হচ্ছে ভারী কাঁথা। এ অবস্থায় তরুণ, যুবাদের তেমন সমস্যা না হলেও ভোগান্তিতে পড়ছে শিশু, বয়স্করা। অনেকেই ভুগছেন সর্দি, জ্বরে। অন্যদিকে কর্মমুখী মানুষও রয়েছে বিপাকে। বাইরে বেরিয়েই হতে হচ্ছে আধভেজা।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিনদিনে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। এ সময়ে ক্রমান্বয়ে অতি ভারী থেকে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সুষ্পষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা বাড়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ কোথাও কোথাও হচ্ছে অতি ভারী বর্ষণ।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ১২১ মিলিমিটার; হাতিয়ায় ১২০ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ৯৭ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে টাঙ্গাইলে, ৯৮ মিলিমিটার, ঢাকায় ৫৩ মিলিমিটার আর রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের মধ্যেও প্রায় সব জায়গায় মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সমুদ্র উপকূলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় এখনো তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে বলা হয়েছে পরবর্তীতে নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে। তবে বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা কেটেছ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
ইইউডি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।