ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম কমাল স্কয়ার টয়লেট্রিজ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম কমাল স্কয়ার টয়লেট্রিজ

ঢাকা: বিশ্ববাজারে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের কাঁচামালের দাম কমে যাওয়ায় সাবান, গ্লিসারিন, গুঁড়া সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডারের মতো নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যের দাম কমিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস) কোম্পানি স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড।

বাজারে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে কমবেশি সব ধরনের পণ্যের দামই যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের মূল্যহ্রাসের এই উদ্যোগ ভোক্তাদের জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।

 

পণ্যভেদে সর্বনিম্ন ২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। সবমিলিয়ে বিভিন্ন ওজন বা পরিমাপের ২৫ ধরনের প্যাকের দাম কমিয়েছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড।  

গত ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে এ দাম কমানো হয়। যার সুফল এখন পাচ্ছেন ভোক্তারা।

স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে মেরিল মিল্ক সোপ বারের ১৫০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ৭০ টাকা, ১০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ৫৫ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭৫ গ্রামের প্যাকেও রয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়। সাবান ছাড়া দাম কমানো হয়েছে গুঁড়া সাবান বা ওয়াশিং পাউডারেরও। চাকা সুপার হোয়াইটের এক হাজার গ্রামের প্যাকের দাম ২০ টাকা কমিয়ে ১৮০ টাকা, চাকা অ্যাডভান্সড ওয়াশিং পাউডারের এক হাজার গ্রামের প্যাকেটের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৩৫ টাকা ও ২০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ২ টাকা কমিয়ে ২৮ টাকা করা হয়েছে। মেরিল গ্লিসারিনের ১২০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ২৫ টাকা কমিয়ে ১১৫ টাকা ও ৬০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়েছে। আর সেপনিল হ্যান্ডওয়াশের ২০০ মিলিলিটারের প্যাকের দাম কমানো হয়েছে ১০ টাকা।  

স্কয়ার টয়লেট্রিজ যেসব পণ্যের দাম কমিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম কমানো হয়েছে মেরিল গ্লিসারিনের। বাজারে মেরিল গ্লিসারিনের দুই ধরনের প্যাক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১২০ গ্রাম প্যাকের দাম সর্বোচ্চ ২৫ টাকা কমানো হয়েছে। আর ৬০ গ্রামের প্যাকে কমানো হয়েছে ১৫ টাকা।

মূল্যহ্রাসের এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মালিক মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নকে আমরা আমাদের একটি দায়িত্ব বলে মনে করি। শুধু পণ্য উৎপাদন আর বিপণন নয়, ব্যবসার বাইরেও প্রত্যেক গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের বহু বছরের একটি বিশ্বস্ত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর তাই বিশ্ববাজারে কিছু কিছু কাঁচামালের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও বেশ কিছু পণ্যের দাম কমিয়েছি। কাঁচামালের দাম কমার ফলে আর্থিকভাবে যতটা সাশ্রয় আমাদের হয়েছে, দাম কমিয়ে তার পুরোটা সুফলই আমরা ভোক্তাকে দিয়েছি। ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো পণ্যের দাম যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে বেশি কমানো হয়েছে। এতে মানুষের জীবন কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ’

গত বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেশে হু হু করে বাড়তে থাকে ডলারের দামও। তাতে নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী তৈরির কাঁচামালের দাম, পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় উৎপাদন খরচও। এ কারণে গত বছর কয়েক ধাপে সাবান, গুঁড়া সাবান, স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীর দাম বাড়ানো হয়। এখন বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম কমে আসায় এসব পণ্যের দামও সমন্বয় করা হচ্ছে।

ভবিষ্যতে উৎপাদন খরচ আরও কমলে তার সুফল যাতে ভোক্তারা পান, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।