ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

এক বছরে আদানি গ্রিনের ২৫ শতাংশ নগদ মুনাফা

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
এক বছরে আদানি গ্রিনের ২৫ শতাংশ নগদ মুনাফা

ঢাকা: ভারতের বৃহত্তম ও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড (এজিইএল) সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে।  

আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় কোম্পানির রাজস্ব চলতি অর্থবছরে ৩৩ শতাংশ বেড়ে সাত হাজার ৭৩৫ কোটি রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে।

বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আদানি গ্রিনের নগদ মুনাফা ২৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৯৮৬ কোটি রুপি। অপারেশনাল কার্যক্রম সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ঘটেছে আদানি গ্রিনের, যা বাৎসরিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০.৯ গিগাওয়াট। গুজরাটের খাবড়ার ৩০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে দুই গিগাওয়াট সফলভাবে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে আদানি গ্রিন এনার্জি।

এটি বিশ্বের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে।

এছাড়াও, দেশটির অন্ধ্র প্রদেশে ৫০০ মেগাওয়াটের প্রথম প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণের ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ গিগাওয়াট হাইড্রো পাম্পড স্টোরেজ সক্ষমতা যুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে এইজিএল। একইসঙ্গে, প্রতিষ্ঠানের মূল প্রকল্পগুলোরসফল বাস্তবায়ন এবং চাহিদা বৃদ্ধির ফলে জ্বালানি বিক্রি ৪৭ শতাংশ বেড়ে মোট ২১ হাজার ৮০৬ মিলিয়ন ইউনিট হয়েছে।

আদানি গ্রিন এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত সিং বলেন, ‘মাত্র ১২ মাসের মধ্যে খাবড়ার ৩০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার দুই গিগাওয়াট সফলভাবে স্থাপন করতে পারায় আমি টিমকে নিয়ে অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। ২০২৪ অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.৮ গিগাওয়াট সক্ষমতার সংযোজন, আমাদের শক্তিশালী কার্যকরী সক্ষমতাকেই নির্দেশ করে এবং এই গতি অব্যাহত থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা এখন সৌর, বায়ু ও হাইব্রিড প্রকল্পের পাশাপাশি জ্বালানি স্টোরেজ সরবরাহের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ গিগাওয়াট হাইড্রো-পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্প চালু করা।

এজিইএল-এর নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতার লক্ষ্যমাত্রা এখন ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করা। ভারতের জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির একটি ত্বরান্বিত একীভূতকরণে জন্য স্টোরজে সমাধানে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বৃহৎ পরিসরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প স্থাপনে নেতৃত্ব দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ফলে, দেশটিকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াটের অ-জীবাশ্ম জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কাছাকাছি যেতে সহায়তা করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।