ঢাকা, শনিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ জুন ২০২৪, ২৩ জিলকদ ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

অস্ট্রেলিয়ান ভিসার জন্য গ্রহণযোগ্যতা লাভ করলো টোফেল আইবিটি স্কোর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ান ভিসার জন্য গ্রহণযোগ্যতা লাভ করলো টোফেল আইবিটি স্কোর

ঢাকা; বৈশ্বিক শিক্ষা ও প্রতিভা সমাধান সংস্থা ইটিএস সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে যে গত ৫ মে থেকে বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজির পরীক্ষা বা টোফেল আইবিটি সমস্ত অস্ট্রেলিয়ান ভিসার উদ্দেশে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এ ঘোষণাটি অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়ন, কাজ বা স্থানান্তরিত থেকে চাওয়া মানুষদের জন্য টোফেল আইবিটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের ইংরেজি দক্ষতা প্রদর্শন করার একটি সুযোগ নিয়ে এসেছে।

 

টোফেল আইবিটি অ্যাকাডেমিক ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের সবচেয়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা। অস্ট্রেলিয়ার শতভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিশ্বব্যাপী ১৬০টি দেশের ১২ হাজার ৫০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে টোফেল আইবিটি গ্রহণ করা হয়।  

টোফেল আইবিটির এ অনুমোদন অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্সের একটি আদর্শ পর্যালোচনা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৈরি, যা দ্বারা গত বছরের টোফেল আইবিটি আনা পরিবর্তনগুলোকে অনুসরণ করে। এ পরিবর্তিত টোফেল আইবিটি পরীক্ষাটি বিভিন্ন ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ইংরেজি দক্ষতার একটি বিশ্বস্ত পরিমাপ হিসেবে তার ভূমিকা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। যে-সব আবেদনকারী গত ৫ মে, ২০২৪ থেকে টোফেল আইবিটি পরীক্ষা দিয়েছে তারা তাদের অস্ট্রেলিয়ান ভিসা আবেদনের অংশ হিসেবে তাদের স্কোর জমা দিতে পারবেন।

ইটিএসের ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কান্ট্রি ম্যানেজার শচীন জৈন এ পরিবর্তনের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, ইটিএস-এ আমাদের লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক উচ্চ শিক্ষার সুবিধা সহজতর করা এবং আমাদের বিশ্বমানের মূল্যায়নের মাধ্যমে গতিশীলতা বাড়ানো। অস্ট্রেলিয়া একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য ও বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে ৪৪ শতাংশ ভিসা অনুমোদনের হারসহ প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় গেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। বিগত সময়ের এ পরিসংখ্যান আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা একটি অধ্যয়নের গন্তব্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে তুলে ধরে। সর্বশেষ কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী শীর্ষ ১০০টি বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়সহ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বমানের উচ্চ শিক্ষা ও অধ্যয়ন পরবর্তী কাজের সুযোগ দেয়।  

তিনি আরও বলেন, টোফেল আইবিটি পরীক্ষার স্বীকৃতির সঙ্গে সঙ্গে ইটিএস অস্ট্রেলিয়াতে শিক্ষাগত ও কর্মজীবনের সুযোগ খুঁজছেন এমন শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের সর্বাধিক স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা টোফেল আইবিটির মাধ্যমে ইটিএসের লক্ষ্য হলো যেসব বাংলাদেশি ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা বা চাকরির সুযোগ খুঁজছে তাদের সহায়তা করা।  

মোহাম্মাদ কামরুল হাসান পলাশ (সিইও উইজডম এডুকেশন) বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার প্রতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ প্রত্যক্ষ করেছি। অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে অস্ট্রেলিয়ার টোফেল আইবিটি পরীক্ষার স্বীকৃতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরও সহজ করবে এবং বিদেশে তাদের অ্যাকাডেমিক ও ক্যারিয়ারের লক্ষ্যগুলো অনুসরণ করার জন্য একটি নির্বিঘ্ন পথ প্রদান করবে।  

তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন এ উন্নয়নের সুবিধা নিতে পারে। এটি তাদের বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক স্বীকৃত ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা টোফেল আইবিটির মাধ্যমে কার্যকরভাবে ইংরেজি দক্ষতা প্রদর্শন করতে সক্ষম করবে।  

গাজী তারেক ইবনা মোহাম্মদ জেনারেল সেক্রেটারি, ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফএসিডি-ক্যাব) বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য টোফেল আইবিটি পরীক্ষার স্বীকৃতি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যারা অধ্যয়ন ও কাজ করার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া যেতে চায়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষার প্রতি ক্রমবর্ধমান অগ্রাধিকার সুস্পষ্ট। এ বছরেই প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য টোফেল আইবিটি পরীক্ষার স্বীকৃতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রক্রিয়াটিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ করবে এবং শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও অধ্যয়ন পরবর্তী ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাগুলোকে নির্বিঘ্নে প্রবেশাধিকার দেবে।

তিনি আরও বলেন, টোফেল আইবিটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী ছাত্র ও পেশাজীবীদের জন্য ইংরেজি দক্ষতার একটি নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে এর মূল্যকে বর্ধিত করে।

আহসান হাবিব তালহা ইমপ্যাক্ট গ্লোবাল কনসালটেন্ট (আইজিসি) এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, অস্ট্রেলিয়ার টোফেল আইবিটির স্বীকৃতি বাংলাদেশি প্রতিভার জন্য একটি গেম চেঞ্জার। এ অনুমোদন ছাত্র ও পেশাজীবীদের জন্য নতুন একটি পথের উন্মোচন করে, যাতে তারা অস্ট্রেলিয়া ও অন্যত্র সাফল্য অর্জন করতে ভূমিকা রাখবে।  

টোফেল পরীক্ষা এখন পরীক্ষার্থীদের জন্য অধিক সংক্ষিপ্ত, দ্রুত ও দক্ষ। পরীক্ষার্থীরা লিসেনিং ও রিডিং বিভাগের জন্য তাৎক্ষণিক অনানুষ্ঠানিক স্কোর পান, যা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপগুলি দ্রুত পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে। এছাড়া টোফেল কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই সীমাহীন স্কোর রিপোর্টিংয়ের অনুমতি দেয় এবং বাড়তি কোনো আর্থিক চাপ ছাড়াই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রসারিত করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।