ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

দেশের গার্মেন্টস শিল্পে সবুজ বিপ্লব: ট্রাইটেক ও এমএনআরের যুগান্তকারী পদক্ষেপ

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৪
দেশের গার্মেন্টস শিল্পে সবুজ বিপ্লব: ট্রাইটেক ও এমএনআরের যুগান্তকারী পদক্ষেপ

ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো পোশাক শিল্প। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু দেশের বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিশাল পরিমাণ পোশাক রপ্তানি করছে।

বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে, দেশের পোশাক কারখানাগুলো ক্রমাগত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাপারেল প্রতিষ্ঠান এমএনআর ডিজাইন লিমিটেড পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনে বৈশ্বিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। তারা তাদের আধুনিক ফ্যাক্টরির জন্য USGBC-এর LEED রেটিং সার্টিফিকেশনের আওতায় টেকসই গ্রিন বিল্ডিং নির্মাণের মাধ্যমে সম্মানজনক গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।

এমএনআর-এর নতুন কারখানাকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে ট্রাইটেকের অত্যাধুনিক এইচভিএসি সিস্টেম একটি অনুকরণীয় এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক কেন্দ্রীয় শীতাতপ প্রযুক্তির সমন্বিত ব্যবহারে কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন, দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিশ্চিত হয়েছে।

সাধারণত গ্যাস জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় উচ্চ তাপমাত্রার (৪০০-৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এক্সহস্ট গ্যাস তৈরি হয়। এ বর্জ্য তাপ পরিবেশে ছেড়ে দিলে বাতাসে যে কার্বন নিঃসরিত হয়, তা গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মতো সমস্যাকে ত্বরান্বিত করে। এ তাপকে ব্যবহার না করে ছেড়ে দেওয়া মূল্যবান জ্বালানির অপচয়। ট্রাইটেক এই বর্জ্য তাপকে EGB-এর মাধ্যমে বাষ্পে রূপান্তর করে এবং জাপানে তৈরি কাওয়াসাকি ব্র্যান্ডের অ্যাবসর্পশন চিলারের মাধ্যমে কুলিং প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে। এর ফলে এক্সহস্ট গ্যাসের তাপমাত্রা ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে এবং কার্বন নিঃসরণের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো সম্ভব হয়।

একই সঙ্গে, এ চিলারটি বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে, শুধুমাত্র বর্জ্য তাপ দিয়ে পরিচালিত হয়, যা এমএনআরের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এছাড়াও, ট্রাইটেকের সরবরাহকৃত যুক্তরাষ্ট্রের ডানহাম বুশ ব্র্যান্ডের স্ক্রু চিলার এবং ইউরোপে নির্মিত ভেরিয়েবল পাম্পিং সিস্টেম কারখানার কার্যকারিতা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিশেষ অবদান রেখেছে। এ প্রযুক্তি সমন্বয়ে সিস্টেমের কার্যকারিতা এবং স্থায়িত্ব বেড়েছে, যা ২৪/৭ উৎপাদন প্রক্রিয়াকে করেছে অত্যন্ত নির্বিঘ্ন ও নির্ভরযোগ্য।

শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে, System Air ব্র্যান্ডের AHU এবং ওভাল ডাক্টওয়ার্কের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্রেশ এয়ার সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে ইনডোর এয়ার কোয়ালিটি (IAQ) উন্নত হয়েছে এবং কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় HVAC কোম্পানি ট্রাইটেক তাদের আধুনিক প্রযুক্তি ও টেকসই সমাধানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও সম্ভাবনাময় প্রকল্পে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।