ঢাকা: লোকালাইজেশনবিষয়ক জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল লোকালাইজেশনকে একটি ধারণা ও প্রক্রিয়া হিসেবে তুলে ধরা এবং এর প্রভাব ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা। অনুষ্ঠানে সরকার, জাতিসংঘ, আইএনজিও, দাতা সংস্থা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রায় ১৩০ প্রতিনিধি অংশ নেন।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (গ্রেড-১), মো. সাইদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের স্থানীয় সমন্বয়কারী গুইয়েন লুইস ও বাংলাদেশে সুইডেনের দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ম্যাটিল্ডা সিয়াভসান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য অন্যদের মধ্যে ছিলেন- ফারাহ কবির, কান্ট্রি ডিরেক্টর, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ; মেহরুল ইসলাম, ইন্টেরিম কান্ট্রি ডিরেক্টর- প্রোগ্রাম, কেয়ার বাংলাদেশ; মনিষ কুমার আগারওয়াল, কান্ট্রি ডিরেক্টর, কনসারন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, সুমিত্রা মুখারজি, অপারেশন ডিরেক্টর, এশিয়া রিজিয়ন অ্যান্ড কান্ট্রি ডিরেক্টর, ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল; প্রশান্ত ভারমা, কান্ট্রি ডিরেক্টর, হেলভেটাস; আশিস দামলে, কান্ট্রি ডিরেক্টর, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ; কবিতা বোস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ; সুমন সেনগুপ্ত, কান্ট্রি ডিরেক্টর, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ।
প্রতিনিধিরা লোকালাইজেশনের একটি নির্দিষ্ট ধারণা ও পরিকল্পনা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করেছেন, যা নারী, শিশু এবং কমিউনিটির সদস্যদের অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে। মূল উপস্থাপকরা লোকালাইজেশনের বর্তমান কর্মপদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তব্যে আইএনজিওগুলোর প্রত্যাশা এবং বাংলাদেশের জাতীয় এনজিওগুলোর লোকালাইজেশনের ব্যাপারে প্রস্তুতি সম্পর্কেও ধারণা তুলে ধরা হয়। এ সেশনটি একটি প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়। যেখানে লোকালাইজেশন নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষে লোকালাইজেশনের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সমন্বিত কার্যক্রমের ব্যাপারে পরিকল্পনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২৪
আরবি