ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২, ১০ মে ২০২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

সবুজ ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব গড়তে নিরলস উদ্ভাবন করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:০৬, এপ্রিল ২৭, ২০২২
সবুজ ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব গড়তে নিরলস উদ্ভাবন করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে

ঢাকা: চীনের শেনঝেনে দুইদিনব্যাপী বার্ষিক গ্লোবাল অ্যানালিস্ট সামিটের ১৯তম আয়োজন শুরু করেছে হুয়াওয়ে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) শুরু হওয়া এই সামিটে ভবিষ্যতে এই খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও হুয়াওয়ের উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যেখানে প্রযুক্তি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক, চিন্তাবিদ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু উদ্ভাবন নির্ভর একটি সবুজ ও বুদ্ধিমান বিশ্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের ওপর আলোকপাত করে মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

হু বলেন, আমরা উদ্ভাবনের ওপর আরও গুরুত্বারোপ করবো, পুরো খাতকে ডিজিটাল ও ইন্টেলিজেন্ট করে এমন একটি বিশ্ব গড়তে সহায়তা করবো যেখানে কার্বন নিঃসরণ অনেকটাই হ্রাস পাবে।

কেন হু প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে তিনটি মূল উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রথমত, নিরলস উদ্ভাবনের মাধ্যমে খাতের অগ্রগতি; দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করা; এবং তৃতীয়ত, কম-কার্বন নিঃসরণে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।

কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে ৫.৫জি ও এফ৫.৫জি’র সাহায্যে সর্বত্র ১০ জিবিপিএস সক্ষমতার সংযোগ নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে। ওয়্যারলেস ও ফিক্সড নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এটিই হবে পরবর্তী বিবর্তন। এই প্রযুক্তি দিয়ে আরও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং বাসায় নিরবিচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।

এখানে আবারও জোর দিয়ে বলা হয় যে হুয়াওয়ে এর ক্লাউডের মাধ্যমে অবকাঠামো, প্রযুক্তি ও দক্ষতাকে ক্লাউড-ভিত্তিক সেবায় পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে এবং বিভিন্ন খাতের গ্রাহকদের জন্য ক্লাউড মাইগ্রেশন সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছে।

ক্লাউড সেবার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে মেটা স্টুডিও তৈরি করছে, যা একটি ক্লাউড-ভিত্তিক, অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড ডিজিটাল কনটেন্ট পাইপলাইন। এর সাহায্যে কনটেন্ট প্রোডাকশন পদ্ধতি আরও ত্বরান্বিত হবে।

উল্লিখিত তৃতীয় উদ্যোগের অধীনে, হুয়াওয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন বাড়াতে এআই, ক্লাউড ও অন্যান্য ক্ষমতাসহ পিভি খাতকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস বেস স্টেশন ও ডেটা সেন্টারগুলোতে কেন্দ্র করে সবুজ আইসিটি অবকাঠামোর জন্য সিস্টেম-লেভেল নিম্ন-কার্বন সমাধান বিকাশ করছে।

হুয়াওয়ে গ্লোবাল অ্যানালিস্ট সামিট প্রথমবারের মতো ২০০৪ সালে আয়োজন করা হয় এবং ১৯ বছর ধরে বার্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই বছরের আয়োজন ২৬-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এবং হুয়াওয়ের ব্যবসার বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করে বেশ কয়েকটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২র্২
এমআইএইচ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।