ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

জলবায়ু সমস্যার সমাধানে তরুণদের প্রশিক্ষণ বুটক্যাম্পের আয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
জলবায়ু সমস্যার সমাধানে তরুণদের প্রশিক্ষণ বুটক্যাম্পের আয়োজন

ঢাকা: ঢাকা বিভাগে ইউনিসেফ বাংলাদেশ, জেনারেশন আনলিমিটেড, জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম, ইন্টারন্যাশনাল লেবর অর্গানাইজেশন (আইএলও) এবং টেকনোভেশন গার্লস বাংলাদেশের আয়োজিত ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ বুটক্যাম্প শেষ হয়েছে।

শনিবার (১ অক্টোবর) ঢাকার হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অক্টোবর মাস জুড়ে বাংলাদেশের আরও পাঁচটি বিভাগে ছয়টি বুটক্যাম্প আয়োজিত হবে।  

প্রথম ধাপে ঢাকা বিভাগের অনলাইনে মূল্যায়নের পর বিবেচিত ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ, যারা জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান প্রকল্পে কাজ করতে আগ্রহী তাদের আইডিয়াগুলো নিয়ে বুটক্যাম্পে আলোচনা করা হয়েছে।

তিন দিনের এই বুটক্যাম্পে, ১২টি দল তাদের প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করে। তাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে কীভাবে তাদের নিজ জেলায় জলবায়ুর সমস্যার সমাধান করবে, সেগুলো আলোচনা করেছে। প্রশিক্ষকরা তরুণ অংশগ্রহণকারীদের সংযুক্ত করতে, সাফল্য এবং ব্যর্থতা পাড়ি দিতে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিকাশ করতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ঢাকা বিভাগ থেকে ৫টি বিজয়ী দল তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিড মানি পেয়েছে। অন্যান্য বিভাগ থেকে আরও বুটক্যাম্প বিজয়ীদের জন্যও অনুরূপ পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। মোট ২০টি দল সিড মানি পাবে এবং দেশের ছয়টি বিভাগে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের জন্য নির্বাচিত হবে।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন বলেন, যদিও এটি একটি পশ্চিমা সমস্যা বলে মনে হয়, আমি এ বুটক্যাম্পে প্রবেশের প্রথম দিন থেকেই বুঝতে পেরেছি যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং আমরা যদি আমাদের অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান না বের করি, অন্য কেউ তা করবে না।

ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, আজ ঢাকায় ১১টি জলবায়ু চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে দেখা একটি অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা ছিল। এক সঙ্গে, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করার জন্য অর্থপূর্ণ সমাধান তৈরি করছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হওয়া সত্ত্বেও, অল্প সংখ্যক কিশোর এবং যুবক বিশ্বাস করে যে তারা একটি পার্থক্য আনতে পারে।

বাংলাদেশে আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. তুওমো পাউটিয়াইনেন বলেন, জনসংখ্যার ৩০ শতাংশেরও বেশি অংশ নিয়ে, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের তরুণদের চালিকাশক্তির আসনে বসাতে হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে, কাজের ভবিষ্যতের জন্য তাদের প্রস্তুত করা এবং উৎপাদনশীল শ্রমবাজারের সম্পৃক্ততার জন্য কার্যকর পথ তৈরি করা অপরিহার্য। আমি এটা দেখে আনন্দিত যে জেনারেশন আনলিমিটেড প্রোগ্রাম ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ বুটক্যাম্প ২০২২ -এর মাধ্যমে তরুণদের উদ্যোক্তা মানসিকতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে, তাদের সমস্যা সংজ্ঞায়িত করতে, সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে, প্রভাবশালী ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করতে দলে কাজ করতে সক্ষম করে।

জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ বলেন, আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর করে আমরা কীভাবে আজ জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করি। ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ বুটক্যাম্প ২০২২ এর অংশ হিসেবে, যুবকদের তাদের অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য জলবায়ু-স্মার্ট এন্টারপ্রাইজ সলিউশন ডিজাইনে একত্রিত এবং সমর্থন করা হবে। এটি তাদের বিশ্বে এবং দেশে অবদান রাখার উপায়গুলো ভাবতে অনুপ্রাণিত করবে।

ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ বুটক্যাম্পের উদ্যোগটি যুবকদের সামাজিক প্রভাবকে অনুঘটক করতে এবং মানবতা এবং পৃথিবীর জন্য আরও সুন্দর ও স্থিতিশীল ভবিষ্যত তৈরি করতে সাহায্য করবে। এটি তরুণদের পরিবর্তনকারী হতে এবং তাদের সমাজে, দেশে এমনকি সারা বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে উৎসাহিত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।