বিপিএলে যত আসর খেলেছেন, প্রায় সব আসরেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন ক্রিস গেইল। যদিও টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালাকে এবার দলে টানেনি কোনো দলই।
তাদেরই একজন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে আজম খান। গেইলের মতোই বড় বড় ছক্কা হাঁকাতে পটু তিনি। তার সেই বিধ্বংসী রূপ আজ দেখা গেল বিপিএলের মঞ্চে। তার সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। বিপিএলের নবম আসরে প্রথম সেঞ্চুরির জন্ম দিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিশালদেহী আজম নিজের ওজন নিয়ে কম সমালোচনা শোনেননি। তবে সব সমালোচনাই পারফরম্যান্স দিয়ে ঢেকে দিতে চেয়েছেন। আজ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫৮ বলে ৯ চার ও ৮ ছয়ে অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস খেলে আরও একবার বোঝালেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কেন তার কদর বাড়ছে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। আগের সেরা ছিল ৮৮ রান।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। তৃতীয় ওভারেই নিজের দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। ৫ রান করা শারজিল খানকে মিড অনে থাকা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। পরের ওভারেই হাবিবুর রহমানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আবু জায়েদ রাহী।
মাত্র ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। অভিজ্ঞ তামিম ইকবালও হাতখুলে খেলতে পারছিলেন না। শুরুর দশ বলে কেবল এক রান নিতে পারেন তিনি। কিন্তু আজম খান ক্রিজে আসতেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। চট্টগ্রামের বোলারদের কেবল ছাতুপেটা করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ফিফটি করতে সময় নেন ৩৩ বল। পরের ফিফটি করতে সময় নেন মাত্র ২৪ বল।
তৃতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি বাঁধেন আজম। যেখানে তামিমের অবদান ২৭ বলে ৩৯ রান। তবে ব্যক্তিগত ভাবে ৩৭ বলে ৪০ রান করে ভিয়াস্কান্তের বলে বোল্ড হন তামিম। তার বিদায়ের পর যোগ্য সঙ্গী পাননি আজম। তবে একা হাতে দলকে টেনেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার। তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির সুবাদে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা। ইয়াসির আলী ১ , সাব্বির রহমান ১০ রানে ফেরেন। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। একটি করে শিকার শুভাগত হোম, ভিজয়কান্ত ভিয়াসকান্ত ও জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এএইচএস/আরইউ