দুই দিন বিরতি দিয়ে আজ আবারও মাঠে ফিরেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ঢাকায় দিনের প্রথম ম্যাচগুলোতে রান হতো না সেভাবে।
দুই দলই একটি করে জয় ও হার নিয়ে পা রেখেছে চট্টগ্রাম পর্বে। টস জিতে আগে বরিশালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম। বরিশালের হয়ে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আবু জায়েদ রাহীর প্রথম ওভারেই কাভার দিয়ে পরপর তিনটি চার মারেন তিনি। আগের ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
এবার দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি মিরাজ। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রান করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে। বরিশালের রান তখন ৩ ওভারে ৩৩ রান। তিন নম্বরে নেমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে টানা দুটি চার মারেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় ৮ রান করা বরিশাল অধিনায়ককে। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বিজয়। ২১ বলে ৫ চারে ৩০ রান করে দলীয় ৭১ রানে ফেরেন তিনি।
বিজয়ের বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। তবে ইব্রাহীম জাদরানের সঙ্গে মিলে তা সচল রাখার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। মাহমুদউল্লাহর বিদায়েই ভাঙে এই জুটি। জিয়াউর রহমানের বলে উন্মুক্ত চাঁদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে সমান দুটি করে চার ও ছক্কায় বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ব্যাটিংয়ের ধার বাড়িয়ে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি জাদরানও। ৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানে রাহীর শিকার হন তিনি। তাতে বরিশালের বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা ফিকে হতে শুরু করে।
১৯ তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রাহী। কিন্তু এরপরই ম্যাচের পাল্লা আবারও বরিশালের দিকে নিয়ে আসেন ইফতিখার। রাহীর সেই ওভারের শেষ তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান এই পাকিস্তানি ব্যাটার। তাছাড়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা শেষ ওভারে দুই চার ও এক ছয়ে ১৪ রান নিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দুইশ ছাড় করান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এএইচএস