ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘সোহানের স্টাম্পিং ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
‘সোহানের  স্টাম্পিং ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়’

টানা দুই ম্যাচ হেরে কিছুটা বিপদেই পড়ে গিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। তবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৫ রানে হারিয়ে আবারও জয়ে ফিরেছে তারা।

আগের হারের ম্যাচগুলোতে ছিলেন না দলটির অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ফিরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি।  

তবে গ্লাভস হাতে দারুণ করেছেন সোহান। রাকিবুল হাসানের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি চট্টগ্রামের খাজা নাফে। বল হাতে পেয়ে স্টাম্পের কাছে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন সোহান। ফলো-থ্রুতে নাফের পা ক্রিজ থেকে মুহূর্তের জন্য ওপরে উঠতেই চোখের পলকে বেলস ফেলে দেন এই উইকেটরক্ষক।

এরপর মেহেদী হাসান রানাকেও ফিরতে হয় সোহানের গ্লাভসের নৈপুণ্যে। ড্রাইভ করতে গিয়ে মুহূর্তের জন্য পা বাইরে বের করেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই বেলস ফেলে দিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান রংপুর অধিনায়ক। এমন ছোট ছোট জিনিসই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন দলের স্পিনার রাকিবুল হাসান।  

তিনি বলেছেন, ‘তিনি অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন (আউটের ব্যাপারে)। এজন্য আমরা ভাবছি আউট। কারণ তিনি খুব ভালো কিপার, দেশের অন্যতম সেরা। এসব একটা দলকে আরেকটা থেকে এগিয়ে রাখে। এসব কারণেই ম্যাচটা আমাদের হয়েছে। আমরা ক্যাচগুলো ভালো নিয়েছি, দুয়েকটা স্টাম্পিং ভালো হয়েছে; এটাই আর কী পার্থক্য তৈরি করে দেয়। ’

সোহানের ফেরা দলের জন্য কতটা জরুরি এমন প্রশ্নে রাকিবুল বলেছেন, ‘তিনি দলের অধিনায়ক, তিনি খুবই জরুরি দলের জন্য। আমরা ভাগ্যবান যে খুব তাড়াতাড়ি রিকভার করে খেলতে পেরেছে। তিনি মাঠে থাকলে আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। ’

রংপুর তাদের ছয় ব্যাটারকে হারালেও নামেননি সোহান। তিনি কি পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন? জবাবে রাকিবুল বলেছেন, ‘অনেকটাই সেরেছে। হয়তো দলের পরিকল্পনার জন্যই নামে নাই আর কী। নিচের দিকে যারা মারতে পারে ভালো, তারাই আজকে ব্যাটিং করেছে। ’

বাংলাদেশ সময় : ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।