সিলেট থেকে: ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স ধুঁকছে। ক্রিজে এলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
১৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। পরে দলীয় সংগ্রহ ৯২ রানে নিয়ে গেলেও পায়নি জয়ের দেখা। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাদের। মুশফিকের ওই বোল্ডটি ছিল দৃষ্টিনন্দন। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ নিয়ে কথা বলেছেন ওমরজাই।
তিনি বলেছেন, ‘টিম মিটিংয়ে এটা বলা হয়েছিল, মুশফিক যখনই আসবে তাকে বল ভেতরে ঢুকাতে হবে প্রথমে। স্টাম্প টু স্টাম্প করতে হবে। আমারও ইচ্ছে ছিল ভালো জায়গায় ফেলে বল ভেতরে ঢুকাবো। আলহামদুলিল্লাহ যে পরিকল্পনা ছিল, সাফল্য পেয়েছি। ’
‘পরিকল্পনা পুরো দলেরই ছিল। অধিনায়ক, কোচ, যেই ছিল। আমাদের বলা হয়েছিল, যেই প্রথমে আসবে বল করতে আসবে, ভেতরে ঢুকাতে হবে প্রথম দুই তিন বল। ওই পরিকল্পনাতেই সফল হওয়া গেছে ‘
ম্যাচের উইকেট নিয়ে ওমরজাই বলেছেন, ‘কন্ডিশন এমন ছিল, বল সুইং করছিল বেশি। হারিস ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হচ্ছিল, যত আগে বল করবো তত বেশি সুইং পাচ্ছিলাম। নজর ছিল ভালো লাইন ও লেন্থ ঠিক রেখে বল করা। এতেই সাফল্য পেয়েছি। ’
১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু এরপর মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তানজিম হাসান সাকিবের ওপর ভর করে রান ৯২তে নিয়ে যায় সিলেট। রংপুরও পরে ব্যাট করতে নেমে হারিয়েছে ৪ উইকেট।
৭ উইকেট নেওয়ার পর পরিকল্পনা কী ছিল জানতে চাইলে ওমরজাই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আপনি যেমন বললেন ১৮-৭ ছিল, আমাদেরও চেষ্টা ছিল দ্রুত অলআউট করা। কিন্তু অধিনায়ক ও একজন ভালো জুটি গড়লো। ’
৯৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামার আগে কী কথা হয়েছিল এ নিয়ে ওমরজাই বলেন, ‘এই কথা তো হয়েছে (রান রেট)। কারণ আমাদের পাঁচ ম্যাচ বাকি এখনও। আমাদের চেষ্টা ছিল, এই ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ; এটাতেই রান রেট বাড়াতে হবে। শেষ ম্যাচে রিদম পেয়েছি, সেটাকে নিয়েই এগিয়ে যাবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ