ফের একবার বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে আসছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এর আগেও প্রায় সাড়ে তিন বছর জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
সাফল্য পেলেও এই লঙ্কানের সময়ে ড্রেসিংরুমে অস্থিরতার কথা শোনা যায়। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গেও নাকি তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। আবারও একই পরিস্থিতির ভয় পাচ্ছেন অনেকে। হাথুরুসিংহের সঙ্গে ওই সময় কাজ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। জাতীয় দলের বর্তমান টিম ডিরেক্টর তাকে চেনেন ভালো করেই।
মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন এ নিয়ে বলেছেন, ‘সবচেয়ে ক্লিন ড্রেসিং রুম ছিল যখন হাথুরু ছিল। আমরা সবসময় একটা কথা বলি, মিডিয়াতেও আগে শুনি, কড়া হেড মাস্টার বলে কথা বলে বোধ হয়, আমার মনে হয় তিনি অত কড়াও নন, যেরকম করে আমরা বলি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কী চাই, আপনি আমাকে পেছনে কথা না বলে সামনে কথা বলেন। এটা একটা ভালো মানুষের লক্ষণ। আমি মনে করি হাথুরু ভালো মানুষ। পেছনে কথা বলে না কাউকে, ও যা বলে সামনে কথা বলে। ’
‘পেছনে গালগল্প করার চেয়ে একটা খেলোয়াড়কে যদি সামনে বলেন, তোমার থেকে আমি এটা চাই বা তোমার এই জিনিসটা ভালো না। এতে খারাপ কিছু তো দেখি না। এটা যদি কড়া হেড মাস্টার হয়ে যায়, তাহলে তা-ই। কিন্তু আমি মনে করি, আমি অনেক কোচের সঙ্গে কাজ করেছি বাংলাদেশে, যারা সামনে একরকম, আবার পেছনে অন্যরকম কথা বলে। ’
সুজন বলছেন, হাথুরুসিংহের কাছে সব ক্রিকেটাররাই সমান মর্যাদা পান, ‘হাথুরুর ব্যাপারে একটা কথা বলবো, ওর এই গুণটা আমার দারুণ লাগে যে- ও যা বলে সামনে বলে। সাকিব কিংবা তামিম, অবশ্যই তারা সম্মানিত, বড় প্লেয়ার, সিনিয়র প্লেয়ার, গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার আমাদের দলের। কিন্তু ওই ডেফিনেশন তৈরি করে না দলে। একটা তরুণ প্লেয়ার যে রেসপেক্ট পাওয়া উচিত, সবসময় সব প্লেয়ারকে সে দিয়েছে। ’
হাথুরুসিংহের অধীনে দল ভালো করবে বলেই বিশ্বাস সুজনের, ‘আমি নেতিবাচক সেন্সে নিতে চাই না। তখন ও তরুণ ছিল, যে একটা অবস্থা ছিল, তখন আমরা জিততে পারছিলাম না। এজন্য অনেক কিছু বদলাতে হয়েছে তখন। এখন তো পরিস্থিতি অন্যরকম। যদি আমরা ইতিবাচকভাবে নিই, সবকিছু ঠিক থাকে। আমার মনে হয় না যে খারাপ করবো ওর অধীনে। ভালো করারই কথা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম