বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল, বড় তিন দলকে ঘরের মাঠে সিরিজ হারানো; চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদের সাফল্যের কথা এলেই চলে আসে এসব। তবে হাথুরুসিংহের আমলে বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছিল সাদা পোশাকেও, অন্তত ঘরের মাঠে।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলকে তার অধীনেই টেস্ট হারায় বাংলাদেশ। যদিও তখন প্রশ্ন ছিল স্পিন উইকেট নিয়ে। এমন পিচে খেলে স্বল্পমেয়াদী সাফল্যের পেছনেই ছুটেছেন হাথুরু, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এমন।
এসব কথা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে হেড কোচ হয়ে ফিরে আসার পর থেকে আলোচনায় আবারও। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সফল বেশ লম্বা সময় ধরেই। মূল সমস্যা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে। লাল বলের ক্রিকেটে কি ফের ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ কাজে লাগিয়ে স্বল্পমেয়াদী সাফল্যের পেছনে ছুটবেন হাথুরু?
প্রশ্নটি বুধবার মিরপুরের সংবাদ সম্মেলনে করতেই যেন গরম হয়ে উঠলো পুরো কক্ষ। হাথুরু একটু নাখোশই হলেন বটে, প্রশ্নকারী সাংবাদিকের দিকে ছুড়ে দিলেন উল্টো প্রশ্ন, ‘হোয়াট ইস হোম অ্যাডভান্টেজ? যখন আমরা নিউজিল্যান্ড যাই, কী ধরনের উইকেটে আমরা খেলি? ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কী করে তাদের ঘরের মাঠে? ভারত এখন ঘরের মাঠে কী করছে?’
বেশ কয়েকটি দলের উদাহরণ টানলেন হাথুরু, থামলেন না তাতেই। প্রশ্নকারী সাংবাদিকের কাছে জানতে চাইলেন ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ নিয়ে। তখন তাকে বলা হলো, ঘরের মাঠে সাফল্য পাওয়া গেলেও দেশের বাইরে গেলে বাংলাদেশ কী করবে?
হাথুরু এরপর বলেছেন, ‘দেশের বাইরে গেলে আমাদের যা আছে তা দিয়ে ম্যানেজ করতে হবে। যদি মিসাইল না থাকে তাহলে আপনি কীভাবে লড়াই করবেন। আমাদের তো গেরিলা যুদ্ধ করতে হবে, তাই না? ওদের আমাদের ঘরে আসতে দিন, আমরা ছোট ছোট অস্ত্র দিয়ে লড়বো। যদি আমাদের অস্ত্র না থাকে তাহলে তো আমরা কিছু করতে পারব না। আমরা শুধু খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে পারি। ’
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ দলের যেটুকু সাফল্য, তাতে বড় ভূমিকা ছিল পেসারদের। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরাও ভালো করছেন। টেস্টেও তারা জানান দিচ্ছেন নিজেদের সামর্থ্যের। ঘরের মাঠে পুরোপুরি স্পিন পিচ হলে তাদের কী হবে?
এমন প্রশ্নে হাথুরু বলেছেন, ‘আপনি এটা বলতে পারেন না। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওরা ভালো করেছে। নিউজিল্যান্ডে ওরা ভালো করেছে। আমরা একটু আগে আলোচনা করলাম পেস বোলারদের নিয়ে, যারা উঠে আসছে। এবাদতের কথা মনে আছে। আমার প্রথম নিউজিল্যান্ড সফরে সে ছিল ডেভেলপম্যান্ট প্লেয়ার। শান্তও। এখন ওরাই ভালো করছে। সুতরাং এটা করতে সময় লাগে। সব দেশই তাই করে। আমাদের ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে হবে। আমাদের নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ