শুরুটা হলো ফুটবল দিয়ে। ইংল্যান্ড খেলাটার আঁতুড়ঘর, সেটিই স্বাভাবিক।
শান্ত আর ধীরস্থির অনুশীলনে ব্যতিক্রম থাকল কেবল ‘স্পিকারের’ গান। ‘হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া’ থেকে শুরু, ‘উইথ অর উইথআউট ইউ’, ‘সামারা ৬৯’সহ বাজলো অনেক গান। সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনুশীলন চললো ইংলিশদের। এর মধ্যে আলাদা ছিলেন অধিনায়ক বাটলার।
ব্যাটার হিসেবে তিনি বিধ্বংসী, তবে কথাবার্তা ও চলাফেরায় শান্ত ও নরম স্বভাবের। ছাতার নিচে বসেই বেশিরভাগ সময় কাটলো তার। ব্যাটিং অবশ্য করেছেন, তার চেয়ে বেশি করেছেন কিপিং। নেট বোলার লেগ স্পিনার সাজুকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ তিনি সময় কাটিয়েছেন গ্লাভস হাতে। মিরপুরে স্পিন পিচ হবে, এমন ভাবনা থেকেই হয়তো।
গানের তালের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা অনুশীলন করেছেন। এর একটা প্রতীকী ব্যাপারও দাঁড় করিয়ে ফেললেন একজন, ‘ইংল্যান্ড যে ক্রিকেটে নতুন এক সুর নিয়ে এসেছে, সেসবেরই বোধ হয় একটা রূপক এমন গানের সঙ্গে অনুশীলন...’। লাউড স্পিকারটার ‘ইনচার্জ’কে চেনালেন ইংল্যান্ড দলের সংশ্লিষ্ট একজন।
তিনি বলছিলেন, ‘এটার দায়িত্ব স্যাম কারানের। ও এটা নিয়ে আসে, আবার নিয়ে যায়। ’ এসব অবশ্য নতুন নয় ইংল্যান্ডের জন্য। শুধু বাংলাদেশে এনেছেন, ব্যাপারটি এমনও নয়। ইংল্যান্ড দল যেখানেই যায়, কারানের তত্ত্বাবধানে সেটি ছোটে সঙ্গে। অনুশীলনেও থাকে নিয়মিত।
ইংল্যান্ডের পেস বোলারদের অনুশীলনে ছিল আধুনিকতার ছোঁয়া। এমনিতে নতুন করে দায়িত্বে আসার পর টাইগারদের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ নেবেন, এমন একটা আগাম ঘোষণাই দিয়ে রেখেছেন। ইংলিশ পেসারদের তাই যতই গতি, স্কিল আর সুইং থাকুক; তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ একটা থাকছেই।
এসব মাথায় রেখে তারা মিরপুরের একাডেমি মাঠে ছুঁড়লেন একের পর এক বাউন্সার। জফরা আর্চার, মার্ক উডদের সঙ্গী হলো জিপিএস ট্র্যাকার। মূলত এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন ফুটবলাররা, কতটুকু দৌড়ালেন ওই হিসাব রাখার জন্য। স্পিনাররা আলাদা করে অবশ্য ব্যাটিং করেছেন এক নেটে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের জন্য অবশ্য কাজটা ততটা কঠিন নয়। বেশিরভাগই বাংলাদেশে আগে খেলে গেছেন। ডেভিড মালান, মঈন আলিরা তো খেলেছেন সর্বশেষ বিপিএলেও। তারা তাই নিজেদের মতো করেই সময় কাটিয়েছেন নেটে। ইংল্যান্ডের এমন ব্যস্ততার দিনে অনুশীলনে আসেনি বাংলাদেশ, আজ তাদের হোটেলে ‘চেক ইন’ করার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম