বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ প্রচলিত ‘অটো চয়েজ’ কথাটি। মূলত একাদশে কিছু ক্রিকেটারের জায়গা মোটামুটি পাকা, এমন কিছু বোঝাতেই ব্যবহার করা হয় শব্দটি।
এই পেসারের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ ওভারে দিয়েছেন ৬৩ রান। বোলিংয়ের ধারটাও নেই আগের মতো। মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে তাই প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ‘কেউই দলে অটো চয়েজ’ না।
তামিম বলেছেন, ‘অটো চয়েজ বলতে কোনো কিছু নেই। আমিও অটো চয়েজ না। এই দলে কেউ নেই। আমি যদি ধারবাহিক পারফর্ম না করি, আমি যদিও দলের অধিনায়ক... আমিও দলে থাকব না। অটো চয়েজ বলে কেউ কিছু না, এটা ঠিক আমাদের অনেক বিশ্বাস ওর ওপর। আমি মনে করি সে সেরাটা দিতে পারে, আগেও সেটা করেছে। ’
‘ওর খুবই ভালো ডিফেন্সিভ স্কিল আছে হয়তো উইকেট নেওয়ার স্কিলটায় উন্নতি করতে হবে। কোনো সময় কোনো খেলোয়াড় এক গ্রাফে যাবে না, আমি সবসময় ওর উপর বিশ্বাস আছে ও করি। আমার বিশ্বাস ও ঘুরে দাঁড়াবে। ’
মোস্তাফিজের সঙ্গে সময়টা ভালো যাচ্ছে না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও। ফিল্ডিংয়ে বিশ্রীভাবে বল ছাড়ছেন। ব্যাট হাতেও রান করতে পারছেন না প্রত্যাশা অনুযায়ী। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৯ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি। এ নিয়েও প্রশ্ন যায় তামিমের কাছে।
জবাবে তিনি বলেছেন, ‘দেখেন এখন স্ট্রাগল যে বিষয়টা বলছেন, বারে বারে আমি এক জিনিস বলতে আমি খুব বেশি পছন্দ করি না। এক সিরিজ আগেই উনি ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছেন। একটা সিরিজের মধ্যে যদি প্রতিবার একই প্রশ্ন করা হয় বা ওনাকে চাপে ফেলা হয়। এটা দলের জন্য স্বাস্থ্যকর না, আপনার নিজের দেশেরই খেলোয়াড় কিন্তু। ’
‘সঙ্গে আপনার সাথে এটাও বলব, আমাদের সবারই ভালো করার সুযোগ আছে, সেটা সব দিক দিয়েই। আমি এই দলের অধিনায়ক, কোনো দিনও পছন্দ করি না কারও দিকে আঙুল দিতে, আমি এখানে ওদের সমর্থনই দিতে চাইব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ