মাঝপথে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের হাতে রেখেছে ইংল্যান্ড। বিশেষ করে জস বাটলার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসী শুরু করে ইংল্যান্ড। নাসুমের করা প্রথম ওভারে আসে ৯ রান। তাসকিন আহমেদও সমপরিমাণ রান উপহার দেন সফরকারীদের। দ্বিতীয় বলে চার খেলেও তৃতীয় ওভারে কেবল ৫ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে ৮ রান খরচ করেন তাসকিন। তবে পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজকে তুলোধুনো করেন ফিল সল্ট ও বাটলার। একটি করে চার ও ছয়ে দুজনে মিলেন ১৩ রান তোলেন সেই ওভারে।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সল্টের ফিরতি ক্যাচ হাতে স্পর্শ করলেও তালুবন্দী করতে পারেননি নাসুম। তার পঞ্চম বলে বাটলারকে দ্বিতীয় জীবন দেন সাকিব আল হাসান। মিড অনে থেকে সহজ ক্যাচটি ধরতে পারেননি তিনি।
অবশেষে ইনিংসের দশম ওভারে স্বাগতিকদের ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। ভাঙেন ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলে সুইপ করার চেষ্টা করেন ফিল সল্ট। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় পেছনে থাকা উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। তাই ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ওপেনারকে।
তিনে নেমে থিতু হতে পারেননি দাভিদ মালান। ব্যক্তিগত ৪ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। ইনিংসের ১২ তম ওভারে সাকিবের বলে তার ক্যাচ লংঅনে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর বেন ডাকেটকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন বাটলার। এর ফাঁকে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২০ তম ফিফটি। তবে ডাকেট ভালো শুরু পেলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। ১৬ তম ওভারের শেষ বলে তাকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ১৩ বলে ২০ রান করেন এই ব্যাটার।
বাংলাদেশ সময়:১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
এএইচএস