সিলেট থেকে: আবাহনীর হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলায় ব্যস্ত ছিলেন জাকের আলী। এর মধ্যেই তিনি পেলেন ‘অনেক দিন চেষ্টার’ পর সফলতার খবর।
মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি দল আগেই জিতে যাওয়ায়, তবে কিপিং করেছেন জাকের। তাকে আগেই অবশ্য কিছুটা আঁচ করতে দিয়েছিলেন আবাহনী কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে কেমন লাগছে?
মিরপুরে তিনি বলছিলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। প্রতিটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম, নিজেকে তাগিদ দিচ্ছিলাম বড় পারফরম্যান্স করার। সুযোগ এসেছে, ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব ভালো কিছু করার। ’
‘পরিবর্তনগুলা তো আসলে... উনারা আগেও বলেছেন, ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখছেন। তো ওই একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আমিও হয়তো পড়েছি। আমাকে প্রমাণ করার জন্যই ওখানে ডাকা হয়েছে। আমি চেষ্টা করবো। যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে ডাকা হয়েছে, বিপিএলে আমি যে ধরনের দায়িত্ব পালন করেছিলাম, চেষ্টা করব ওই ধরনের ক্যামিও ইনিংসগুলো খেলার। ’
সুজনের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে জাকের বলেন, ‘আমি ম্যাচের মধ্যেই জানতে পেরেছি যে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছি। (খালেদ মাহমুদ) সুজন স্যার আমাকে আগেই জানিয়েছিলেন, 'প্রস্তুত থাকিস। হয়তোবা হতে পারে। ' তবে নিশ্চিত খবরটা কিছুক্ষণ আগে ডাগআউটে জানতে পেরেছি। আমি তো ম্যাচে ছিলাম, কিপিং করলাম। এই আর কী। ’’
গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ২১.৮৮ গড় ও ১২০.৬৯ স্ট্রাইক রেটে ১৭৫ রান করেন জাকের। এবার সুযোগ পেলেন জাতীয় দলেও। জাকের নিজেও বলছেন, গত বিপিএলের অবদান আছে তার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায়। কাজে লাগাতে চান সুযোগ।
তিনি বলছিলেন, ‘অবশ্যই। সবচেয়ে বড় কথা, সবশেষ বিপিএলের প্রতিটি ম্যাচ আমি খেলেছি। এর আগের বিপিএলগুলোয় আমি ম্যাচ পাচ্ছিলাম না। ম্যাচ পাওয়ার কারণে আমি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটিং করার সুযোগ পাই। আমি বলবো না যে পুরোপুরি ভালো খেলতে পেরেছি। তবে আমি গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইনিংস খেলেছি। যেগুলো আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। ’
‘আমি বিপিএলে এরকম জায়গায়ই (শেষ দিকের ওভারে) ব্যাটিং করেছিলাম। তখন আমার ওরকম পরিকল্পনা নিয়ে অনুশীলনের অভিজ্ঞতা আছে। আমি ঘরোয়াতেও আবাহনীর যে অনুশীলন, ওখানেও আমি স্লগের কিছু অনুশীলন করে নিয়েছি। এরকমভাবেই নিজেকে আমি প্রস্তুত করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম